০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৩:০২:১০ অপরাহ্ন


মাদারীপুরের সংবর্ধনা সভায় মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ
আসুন আমরা সবাই মিলে সোনার বাংলা গড়ি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
আসুন আমরা সবাই মিলে সোনার বাংলা গড়ি বক্তব্য রাখছেন মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ


প্রবাসী বাংলাদেশিরা হচ্ছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আপনাদের রেমিট্যান্সের ওপরে আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ি। সবকিছুতে রাজনীতি টানবেন না, আপনারা এতোদূরে থাকেন তারপরও আপনাদের মধ্যে দ্বিমত কেন? গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় উডসাইডের গুলশান টেরেসে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাদারীপুর জেলাবাসী আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদারীপুরের পৌর মেয়র মোহাম্মদ খালিদ হোসেন ইয়াদ এসব কথা বলেন।

প্রবাসের পরিচিত মুখ এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ওয়ালী খানের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ও ইস্তেজাউর রহমান বাচ্চুর পরিচালনায় সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মেয়র পত্নী জেরিন ফেরদৌস, শেখ হাসিনার মঞ্চের সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, প্রধান সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম কিবরিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান কবির, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনার আব্দুল হাকিম মিয়া, হারুণ আহমেদ, ওবায়দুর রহমান হাওলাদার, ইদ্রিস আলী, মিসবাহউদ্দিন আব্দুল্লাহ, গৌরহরি রায়, কাজী বোরহান আহমেদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাখাওয়াত বিশ্বাস, বশির আহমেদ, আসাদুজ্জামান গোলাপ, সাফায়েত হোসেন খান, সাজ্জাদ হোসেন বাদল, মিসবাহ উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মোহাম্মদ খালিদ হোসেন ইয়াদ মাদারীপুর জেলাবাসীকে এই সুন্দর আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি আমার কাছে একটি মিলনমেলা। এই মিলনমেলায় এসে সবার সঙ্গে আমার দেখা হলো। এজন্য আমি আয়োজকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বিভিন্ন বক্তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, মাদারীপুরে একটি মেডিকেল কলেজ সময়ের দাবি। তিনি অতীতের উদাহরণ টেনে বলেন, মাদারীপুরে কেউ যদি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতো, তাকে যোগাযোগের কারণে ঢাকায় নেওয়ার আগেই লাশ হয়ে ফিরে আসতো। নিজের প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একবার আমি ৩৬টি ফেরি পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছিলাম। লঞ্চে বিকল্প ছিল না। আজকে সেই অবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু করে দিয়েছেন। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব করেছে। তবে এটি হবে শরীয়তপুরে, যা বলা যায় মাদারীপুরের বর্ডারে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও হবে, তবে স্থান নিয়ে বিরোধ রয়েছে, আশা করি তাও দূর হয়ে যাবে। তিনি চিকিৎসা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশে একটি বাজে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের মানুষ সাধারণত বড় ডাক্তার পায় না। সরকারি বড় বড় ডাক্তারদের নিয়োগ দিলেও তারা দুই দিনের বেশি গ্রামে যান না। আবার তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিসও করেন।

মেয়র বলেন, আমরা এখন জন্মসনদ এবং মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সনদ, সেই সঙ্গে মৃত্যুসনদ দিয়ে থাকি। এজন্য আপনাদের কিছুই করতে হবে না। শুধু ফোন করে বা অনলাইনে আমাদের অনুরোধ করবেন। আমি সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে নিঃস্বার্থভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা হচ্ছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আপনাদের রেমিট্যান্সের ওপরে আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলা গড়ি। সবকিছুতে রাজনীতি টানবেন না, আপনারা এতোদূরে থাকেন তারপরও আপনাদের মধ্যে দ্বিমত কেন? সেই মেয়র মাদারীপুরের বিভিন্ন উন্নয়নের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন।

ডা. ওয়ালী খান প্রধান অতিথিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমরা প্রবাসীরা আপনাদের কাছে আসলে কিছুই চাই না। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যেসব কাজ প্রয়োজন আশা করি আপনারা তা করে দিবেন।

জালাল উদ্দিন জলিল, স্বাগত বক্তব্যে মাদারীপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সভাপতি ডা. ওয়ালী খান এবং জালাল উদ্দিন জলিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল মজিদ।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী তানভীর শাহীন ও কৃষ্ণাতিথি।

শেয়ার করুন