২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০২:৪৯:০০ অপরাহ্ন


দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ
শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিস্কার
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৩-২০২৩
শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিস্কার শওকত মাহমুদ/ফাইল ছবি


দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বহিস্কার করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দলের সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

গত ১৬ মার্চ রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে জাতীয় ইনসাফ কমিটি(ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) এক অনুষ্ঠান হয় সেখানে সংগঠনের আহ্বায়ক ফরহাদ মজহার ও সদস্য সচিব হিসেবে শওকত মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। জাতীয় ইনসাফ কমিটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়।


বহিস্কারের বিষয়ে জানতে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘‘এটা(বহিস্কারাদেশ) দূ:খজনক।”

সাংবাদিক শওকত মাহমুদ জাতীয় প্রেসক্লাবের দুই দফা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নেরও সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সাংবাদিক থেকে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন ২০০৯ সালে। বিএনপি যোগ দিয়েই তিনি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হন। ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে শওকত মাহমুদ দলের ভ্ইাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

শওকত মাহমুদ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়ে একবছরের বেশি সময় কারাবাস করেন। তার বিরুদ্ধে ৬০টির অধিক মামলা রয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে সালে ডিসেম্বরে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে শোকজ করে বিএনপি। ওই সময় পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ থেকে তিনি সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন। ওই সমাবেশের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক ছিলো না বলে বিএনপির ভাষ্য ছিলো।

২০১৯ এবং ২০২০ সালেও ঢাকায় সরকার বিরোধী দুইটি বড় জমায়েত হয়েছিলো। এর পেছনেও শওকত মাহমুদ ছিলেন বলে তাকে কারণ দশানো নোটিশ দেয় বিএনপি।ওই সময়ে আরেক ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদকেও কারণ দশানো নোটিশ দেয়।


বিএনপির নেতারা মনে করেন, সরকার পতনের আন্দোলনের নামে এই ধরনের ততপরতার পেছনে সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই কারণে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে অনেককে ফোন করে ওই সমাবেশে যেতে নিষেধ করা হয়।


 


শেয়ার করুন