২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ১১:২৮:৩৮ অপরাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্র আ’লীগে বিরোধ চরমে
সমঝোতা না হলে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২৩
সমঝোতা না হলে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা


অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ চরমে। এই বিরোধের প্রভাব পড়তে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাগরিক সংবর্ধনায়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের আগে সমঝোতা না হলে বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ না করলে ২০১৮ সালের মত প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনা সভায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব কে করবেন, কে পরিচালনা করবেন তা নিয়ে দেখা দিতে পারে গন্ডগোল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান। তিনি বর্তমানে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশে যোগ দিচ্ছেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় নাগরিক সংবর্ধনায় ভাষণ দিবেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন কে বা কারা? আবার অনুষ্ঠানে কে সভাপতিত্ব করবেন এবং কে পরিচালনা করবেন। আবার কারা মঞ্চে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত যতবার জাতিসংঘে এসেছেন ততবারই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। এবার শুনা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগকে। আবার নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়েও শুরু হয়েছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এবং সংবাদ সম্মেলন। রফিকুর রহমান এবং ইমদাদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মহানগর আওয়ামী লীগ বলছে তারাই বৈধ এবং প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার দায়িত্ব পেয়েছেন তারা। আবার জাকারিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মহানগর আওয়ামী লীগের দাবি প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার দায়িত্ব যদি মহানগর আওয়ামী লীগকে দেয়া হয় সেই অনুষ্ঠান আমাদের নেতৃত্বে হবে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ নতুন কিছু নয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করেই ২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করলেও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান সভাপতিত্ব করতে পারছেন না, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারছেন না। তাদের দর্শক সারিতে বসে শ্রোতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে হয়েছে। কিন্তু এবার পুরো গণেষ পাল্টে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রফিক-ইমদাদের নেতৃত্বাধীন মহানগর আওয়ামী লীগকে। আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে ফোনে বলেছেন, এবার নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার আয়োজন করবে। আবার বিশেষ বাহিনীর পক্ষ থেকে ড. সিদ্দিকুর রহমানকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফজলুর রহমান এবং পরিচালনা করবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের ক্ষোভ আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপির উপর। তিনি কেন এই সব করতে যাচ্ছেন? তাদের বক্তব্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত শুনতে চাই। আমরা আব্দুস সালাম গোলাপের সিদ্ধান্ত মানি না। আবার দলের গঠনতন্ত্র কেন লংঘন করা হচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি থাকা অবস্থায় কেন অঙ্গ সংগঠনকে দায়িত্ব দেয়া হবে?

যদি গত ১৯ সেপ্টেম্বর আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসেছেন।

শেয়ার করুন