২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১০:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


যুক্তরাষ্ট্রের আরো ১৮৬ ব্যাংক ঝুঁকিতে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৩-২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের আরো ১৮৬ ব্যাংক ঝুঁকিতে


তিন দিনের ব্যবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিশ্বের আর্থিক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সুইজারর‌্যান্ডের ক্রেডিট সুইস একীভূত হয়েছে আরেক বৃহৎ ব্যাংকের সঙ্গে। এবার জানা গেল, যুক্তরাষ্ট্রের আরো ১৮৬টি ব্যাংক থেকে অর্ধেক আমানতকারী যদি দ্রুত অর্থ তুলে নেন, তাহলে সেই ব্যাংকগুলোও বন্ধ করে দিতে হতে পারে। এন জেড হেরাল্ড পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত আমানত বীমা করা থাকলেও এই ব্যাংকগুলোতে বীমাবিহীন আমানতের পরিমাণ অনেক বেশি। সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কের প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনের সূত্রে এন জেড হেরাল্ড বলেছে, এই ১৮৬টি ব্যাংকের বীমাবিহীন আমানতকারীরা আতঙ্কিত হয়ে আমানত তুলে নিতে পারেন।

এছাড়া এসব ব্যাংকের সম্পদের বড় একটি অংশ সরকারি বন্ডের মতো অস্থিতিশীল ব্যাংকে রক্ষিত আছে। ফলে সুদহার হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে এসব বন্ড হঠাৎ করে অলাভজনক হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়।

এসভিবি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কিন্তু এমন নয় যে তাদের পুঁজি কম ছিল বা তাদের অনুল্লিখিত ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। কিন্তু যেসব ব্যাংকের আমানতের সিংহভাগ বীমাবিহীন ছিল, সেগুলোর শীর্ষ এক শতাংশ ব্যাংকের মধ্যে তারা ছিল একটি।

এসভিবি ধসের মূল কারণ একটিই। সেটা হলো, ঝুঁকি অনুধাবনের অক্ষমতা। গত আট মাস এসভিবিতে রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট অফিসার ছিলেন না। তাই ঝুঁকির সঠিক মূল্যায়ন হয়নি, যদিও  আপাতদৃষ্টিতে স্থিতিপত্র বা ব্যালেন্সশিট ভালো ছিল।

এ ছাড়া আমানত সঞ্চয়কারীদের জন্য সম্পদ হলেও ব্যাংকের জন্য তা দায়। সে রকম ১৭৫ বিলিয়ন বা ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার দায়ের বিপরীতে এসভি ব্যাংক প্রায় সমপরিমাণ মার্কিন সরকারি সিকিউরিটিজ বা বন্ড কিনেছিল, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ। তবে সেগুলোর অধিকাংশই কেনা হয়েছিল কোভিডের সময়, যখন বন্ডের ওপর সুদ ছিল প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। কোভিডকালে প্রযুক্তি ফার্মগুলো তাদের বর্ধিত আয় চোখ বন্ধ করে এসভিবিতে রাখতে শুরু করে।

তখন শেয়ারবাজার অনিশ্চিত থাকায় এসভিবি প্রায় সব আমানত সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করে। তখন সেটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হলেও পরের সম্পূর্ণ পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে যে পরিবর্তন আনতে হবে, সে কথা খুব একটা ভাবেননি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গ্রেগ বেকার। বন্ডগুলোর বাজারদর ভালো না থাকায় তিনি হয়তো সেগুলোর মেয়াদপূর্তি  পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন। সেটিই তার কাল হলো। বাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় আমানতকারীরা একদিনে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার আমানত তুলে নেন।

শেয়ার করুন