২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:৩২:১৬ অপরাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র পানে ভয়ার্ত দৃষ্টি বাংলাদেশের
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০১-২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র পানে ভয়ার্ত দৃষ্টি বাংলাদেশের


নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। নিরঙ্কুশ জয় পেয়েও বিজয় উল্লাস করেনি। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা যথার্থ পালন করেছেন নেতাকর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই এতো বড় জয়ের পর দলের সব নেতাকর্মীর নীরবতা এমনতিই নয়। আনন্দ হবে, মাইক বাজবে, ফূর্তি হবে-বিজয় উদযাপিত হবে এটাই তো! না এসবে যায়নি দল। ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে। এ হলো এক দিকের চিত্র। 

ভিন্ন চিত্রে বিএনপি একেবারেই চুপচাপ দুই একটি বিবৃতি ছাড়া। তবে দলটি মঙ্গল ও বুধবার দুইদিনের কর্মসূচি নিয়ে আবারও মাঠে নামছে। কর্মসূচি বলতে গণসংযোগ। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এ কর্মসূচি চলবে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বাস্তবিক অর্থে দেশের ভবিষ্যত কী। আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার ক্ষমতার মসনদ সাজিয়ে নির্বিঘেœ ৫ বছর কী চালিয়ে যেতে পারবে তো! 

এমন সরল প্রশ্নের দুই ধরনের উত্তর বিদ্যমান। হ্যাঁ পারবে। বর্তমান সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন আয়োজন করে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে নির্ধারিত সময় দেশ পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে অন্য প্রশ্ন আসার কারণ একটাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাদের মিত্রদের এ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কিছু নির্দেশনা, প্রত্যাশা ছিল। সেগুলো উপেক্ষিত। নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষমতাসীন দল সেগুলো আমলে না নিয়ে অনেকটা এক তরফা নির্বাচন আয়োজন করে এর মাধ্যমে এখন সরকার গঠন করার অবস্থানে তারা। 

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিশ্বে গণতন্ত্রের মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকা দেশসমূহে সঠিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা, তাতে বাংলাদেশে কিছু সংস্কারের দিক নির্দেশনা দেয়। কারণ বাইডেনের গত দুইবারের গণতন্ত্র সম্মেলনে উত্তর কোরিয়া, মায়ানমারের মতো দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানায়নি। যার অর্থ বাংলাদেশে সঠিক গণতন্ত্রের চর্চা নেই। 

মার্কিনিরা বলেছিল, গণতন্ত্রের উত্তরণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তাদের পছন্দের নেতা বেছে নিতে পারেন ভোটের মাধ্যমে। বছর খানেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশসমূহের পক্ষে তফসিল ঘোষণার ঠিক আগের দিনও সে প্রচেষ্টা করে গেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত সারা কুক। কিন্তু কাজ হয়নি। তাদের নির্দেশনা উপেক্ষিত রয়েছে। দীর্ঘ প্রায় এক বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের বহু কর্মকর্তা বাংলাদেশের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে পর্যায় ক্রমে ঢাকা ও ওয়াশিংটনে বৈঠক করেও সব উপেক্ষিত। শেষ দৃশ্যে পিটার হাস মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ডোনাল্ড লু’র একটি চিঠি হস্তান্তর করেছিলেন, দেশের শীর্ষ তিন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে। যাতে ছিল সকল রাজনৈতিক দলসমূহ শর্তহীন একটা বৈঠক আয়োজনের জন্য। সেটাও উপেক্ষিত হয়েছে। এরপর নির্বাচনের তফসিল ও ভোট আয়োজন এবং ভোট অনুষ্ঠান। যাতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি জামায়াতসহ অন্তত ৬৩টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। 

এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, পশ্চিমারা কী এ নির্বাচন গ্রহণ করবে? বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা না হলে, বাধাদানকারীসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে থাকাদের ভিসানীতির আওতায় নিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র এ ঘোষনা আগের। এখন সে ভিসানীতির আওতায় কেউ পড়বে কী? 

নাকি তারা হেড ডাউন করে নিজ কর্মে মন দেবে। বিএনপিসহ সমমনাদের এখন এমন কোনো বৈদেশিক উদ্যোগের দিকে তাকিয়ে থাকা ভিন্ন উপায় নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সাপোর্ট অব্যাহত রেখে চলেছে ভারত, চীন, রাশিয়া। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঠিক পরের দিন যখন পুরাপুরি সরকারিভাবে ভোটের রেজাল্টই ঘোষণা হয়নি তার আগেই ওই তিন দেশসহ আরো ৭-৮টি দেশের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতরা এসে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে গেছেন। কেউ জানিয়েছেন ফুলের শুভেচ্ছা। যদিও বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ সিংহভাগ (২২২, সর্বশেষ সংবাদ অনুসারে) আসন প্রাপ্তির ঘোষণা ততোক্ষণে দিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। 

নির্বাচনের পর, সরকার গঠনের আগে রাষ্ট্রদূতদের এমন শুভেচ্ছা জানানো যে ইঙ্গিত বহন করছে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া যথার্থ এবং সরকার গঠনের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে রুটম্যাপ করছে তাকে সমর্থন জানানো। এর বাইরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শেখ হাসিনাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। ৮ জানুয়ারি সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ধ্যায় শেখ হাসিনাকে ফোন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে, তার বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানান। মোদি বলেন, তার দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। ইমরুল কায়েস জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সব সময় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 

টেলিফোন কথোপকথনের পর, নরেন্দ্র মোদি তার এক্স হ্যান্ডেলে (প্রাক্তন টুইটার) লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী এবং জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরো শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ টুইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানান। 

পাশাপাশি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৮ জানুয়ারি সোমবার পাঠানো এক অভিনন্দন পত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দুই দেশের অপরিবর্তনীয় অংশীদারিত্বের সবক্ষেত্রে গভীরতর হতে থাকবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশের আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। অভিনন্দনপত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকেও তাদের অব্যাহত অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য শুভেচ্ছা জানান। এর আগে সকালে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, তার (শেখ হাসিনা) সরকারের নতুন মেয়াদে একে অন্যের জাতীয় উন্নয়নে সহায়তার ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব ও প্রবৃদ্ধি আরো জোর গতি পাবে। 

প্রশ্নটা এখানেই। তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং তাদের মিত্ররা (অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া) এখন কোন পথে হাঁটবে? তারা কী সব কিছু মেনে নেবে। ভারতের পথে চলে যাবে? নাকি বাংলাদেশে তাদের যেসব বিষয়াদি নিয়ে সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনার মতো শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হয়নি বলে বিবৃতি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্্র ও যুক্তরাজ্য। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষায়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কও এক বিবৃতিতে বলেছেন, পথ পাল্টান। সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমুলক গণতন্ত্রের পরিবেশ তৈরি করুন। এটাই এখন বড় হয়ে উঠছে। কী ঘটতে যাচ্ছে। 

নির্বাচনের আগেই এমন কোনো কোনো পদক্ষেপের বাক্য শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। যেমনটা সরকার প্রধান আভাস দিয়ে বলেছিলেন, মার্চে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা রয়েছে। কেউ কেউ বলেছিলেন, বাংলাদেশের আকাশে বিদেশি শকুন উড়ছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিকে অন্য দেশে আক্রমণ করতে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এ জাতীয় হাই থট কথাবার্তার অর্থ সাধারণ মানুষ না বুঝলেও একটা শঙ্কা যে বিদ্যমান সেটা স্পষ্ট। 

তাছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে লাগামহীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা তো প্রকাশ্যে করে গেছেন তারা। যদিও তার কোনো উত্তর মার্কিনিরা কখনই দেয়নি। অনেকে আশঙ্কা করছেন নির্বাচনের পর শাস্তিমূলক কোনো পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করতে পারেন কেননা তাদের দেওয়া নির্বাচনী রুটম্যাপ বাংলাদেশ ফলো করেনি, যা কিছুটা হলেও বাইডেনের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে চ্যালেঞ্জ সেটাকে আঘাত তুল্য। 

বাংলাদেশ অবশ্য অতোসতো ভাবছে না। বিশেষ করে ভারত, চীন রাশিয়ার মতো বন্ধু রাষ্ট্র ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট যখন করছেন তখন অন্য কাউকে ভয় পাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। কারণ এবার আওয়ামী লীগের বক্তব্য ছিল- উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখা ও সংবিধান অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এর বাইরে কেন যাবে বাংলাদেশ? তবু শঙ্কা তো অবশ্যই রয়েছে। কারণ হলো বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপী ইউনিয়নের অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য বিদ্যমান। যার ওপর দেশের বহুলাংশে নির্ভরশীল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়। সঙ্গে ওইসব দেশ থেকে আসে প্রচুর রেমিট্যান্সও। এ খাতে আয়ে বিপর্যয়ের অর্থ ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাওয়া। কারণ ভারত, চীন ও রাশিয়া থেকে বৈদেশিক মুদ্রা তেমন আসে না বললেই চলে। বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইউরোপ আমেরিকায় গার্মেন্টস পণ্য রফতানি আয় ও রেমিট্যান্সের পানে। 

ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অসন্তুষ্ট হওয়া এবং সেটার প্রভাব যদি ওইসব সেক্টরের ওপর পড়ে, তাহলে ভয়ানক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। সেই ভয়টাই এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। 

অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোীয় ইউনিয়নের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ভারতেরও। ভারত যদি এসব বিষয় দেনদরবার করে বাংলাদেশের ব্যাপারে বোঝাতে সক্ষম হয়, তাহলে সেটা হলে আওয়ামী লীগকে আর দেশ চালাতে কোনো বেগ পেতে হবে না। খুশিতে, আনন্দেই আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতার মসনদে থেকে দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম হবে, দেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভবপর হবে। ব্যতিক্রম ঘটলে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ। এখানে বিএনপি বা তাদের মিত্ররা কোনো ফ্যাক্টরই নয়। যদিও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বাংলাদেশের। নির্বাচন ইস্যু সেই বন্ধুত্বের ওপর প্রভাব ফেলবে না। 

তবে ভারত ছাড়া মার্কিনিদের সঙ্গে সঠিক দেনদরবার করার সক্ষমতা চীন রাশিয়ার নেই। ফলে আগামী পাঁচ বছরের ম্যান্ডেট পাওয়ার পর ইউরোপ আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা রক্ষা করার কৌশলে আওয়ামী লীগ এখন কতটা সফল হবে সেটা সময় বলে দেবে।

শেয়ার করুন