২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন


বর্তমান সরকারও বৈষম্য ও স্বৈরাচারী পথ অনুস্মরণ করছে - শরীফ নুরুল আম্বিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৪-২০২৩
বর্তমান সরকারও  বৈষম্য ও স্বৈরাচারী পথ অনুস্মরণ করছে    - শরীফ নুরুল আম্বিয়া


বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, "নির্বাচন কমিশন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আমাদের নিবন্ধন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। হাইকোর্ট নিবন্ধন দানের নির্দেশ দিলেও তারা আমাদের পেছনে লেগে আছে। নিবন্ধন নিয়ে বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করা কোন নির্বাচন কমিশনের কাজ হতে পারে না। দেশে ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য সকল সমস্যার জন্ম দেয়। ৫০ বছরের ইতিহাস সেই সাক্ষ্য দেয়। বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হওয়ার জন্য লুন্ঠন, বৈষম্য ও স্বৈরাচারী পথ অনুস্মরণ করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেভাবে ঘৃন্য ভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে।বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড এখনো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিনত হয়েছে। সরকার জনগনের কল্যান ও মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক আদর্শ ও মুল্যবোধ পরিত্যাগ করেছে। হেফাজতের লেজ ধরে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়। সেজন্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে পশ্চাদমুখী পথে ঠেলে দিয়েছে। বড় প্রকল্প হচ্ছে লুটপাটের জন্য। শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে সরকারে নজর নেই। সরকারের উন্নয়ন নীতি কৃষি বান্ধব না, টেকসই না, শুধুই মাত্র লুন্ঠনবান্ধব। পছন্দসই পরিবার ও ব্যক্তিদের লুটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে এই সরকার।

বাংলাদেশ জাসদ খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা খুলনা উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাসদ খুলনা জেলা সভাপতি ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।


প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফ নুরুল আম্বিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দলের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা  নাজমুল হক প্রধান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম - সাধারণ সম্পাদক  করিম সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম মমহব্বত আলী,  এড হেমায়েতুল্লাহ হিরু উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা, খুলনা জেলা, মহানগর, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাংগা, কুস্টিয়া, মেহেরপুরজেলার সভাপতি - সাধারণ সম্পাদক সহ  নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী।


শরীফ নুরুল আম্বিয়া আরও বলেন যে আশা নিয়ে ১৪ দল গঠন হয়েছিল, আওয়ামীলীগ ও তার চাটুকাররা তা ধংস করেছে। সে জন্য আমরা ১৪ দল থেকে সরে এসেছি। আওয়ামীলীগ আমাদের দেশে রাজনীতিতে জনগনের ভুমিকা নস্যাৎ করেছে। ভোটের অধিকারও তামাসায় পরিনত করেছে।


জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে ন্যুনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংবিধানের সংস্কার, অগন্তান্ত্রিক আইনকানুন এর সংস্কার ও পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত সংকটের শান্তিপুর্ন উত্তরন আমরা চেয়েছিলাম।এখন পর্যন্ত তা হওয়ার লক্ষন নেই।" দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, " সরকারকে একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের। সেটি করতে না পারলে উদ্ভূত পরিস্থির দায় সরকারকেই নিতে হবে।"





শেয়ার করুন