২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ৬:১৯:৩০ অপরাহ্ন


প্রবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৪-২০২২
প্রবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠান


 দেশের ন্যায় প্রবাসেও ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর মধ্যে ছিলো আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসি

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম কর্তৃক দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আব মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল মুজিবনগর দিবস উপলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, দিবসের তাত্পর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা এবং ‘মুজিবনগর সরকার’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং ত্রিশ ল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য একদিন এবং মুজিবনগর বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক।

রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। তিনি আরো বলেন, প্রথম সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দতার সঙ্গে পালন করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পে আন্তর্জাতিক মতামতকে সুসংহত করেছে।

ডেপুটি চিফ অব দি মিশন ফেরদৌসি শাহরিয়ার, মিনিস্টার (ইকোনোমিক) মেহেদি হাসান এবং কাউন্সিলর (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) আরিফা রহমান রুমা আলোচনায় অংশ নেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে একটি বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।

শেয়ার করুন