১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১০:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন


আফগানিস্তানের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষায় বাংলাদেশ
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
আফগানিস্তানের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষায় বাংলাদেশ


আগামী  ১৪ জুন থেকে মীরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে আফগানিস্তান বাংলাদেশের ১ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এর পর জুলাই মাসে ওডিআই এবং টি ২০ সিরিজ। সাম্প্রতিক সাফল্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। তবে মনে রাখতে হবে আফগানিস্তান নবীন দল হিসাবে বিশ্ব ক্রিকেটে কিন্তু ইতিমধ্যেই পদ চিহ্ন রেখেছে। একমাত্র টেস্টে চট্টগ্রামে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। ভারতে অনুষ্ঠিত টি ২০ সিরিজে ধবল ধোলাই করেছে। সার্বিক বিবেচনায় ওডিআই সিরিজে বাংলাদেশের সম্ভাবনা থাকলেও টেস্ট এবং টি ২০ সিরিজ বাংলাদেশের কঠিন পরীক্ষা নেবে। 

বাংলাদেশ টেস্ট খেলবে তুখোড় বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব ছাড়া।  জানিনা ওডিআই এবং টি ২০ সিরিজেও ওকে পাওয়া যাবে কিনা। মাহমুদুল্লাহ টেস্ট খেলে না, টি ২০ ক্রিকেটে নেই তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ। বিসিবির কৌশলে মনে হচ্ছে ওডিআইতেও অনিশ্চিত মাহমুদুল্লাহ। আসন্ন সিরিজের পর এশিয়া কাপ। এর পর নিউজিল- আসবে বাংলাদেশে। এর মাঝেই বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত করতে হবে।  আর তাই আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

আফগান দলে আছে রাশিদ খানের মতো বিশ্ব সেরা লেগ স্পিনার। টি ২০ কথাই নেই, ওডিআই এবং টেস্ট ক্রিকেটেও সমানভাবে কার্যকরি। আছে মুজিবুর এবং নবীর মতো কার্যকরী স্পিনার।  ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছে নূর আহমেদ নামের তরুণ বাম হাতি রিস্ট স্পিনার।  স্পিন আক্রমণ যে কোনো ব্যাটিং লাইন আপ কাঁপিয়ে দেয়ার মত। ফজল ফারুকী, ফরিদ আহমেদ পেস বলার হিসাবেও মন্দ নয়। আফগান বোলিং মোকাবিলা করা সহজ হবে না। বাংলাদেশ স্পিন সহায়ক উইকেট বানালে বিপদে পড়বে।

গুরবাজ, জাদরান, রহমত শাহ, নবী এমনকি রশিদ ব্যাটসম্যান হিসাবে বিকশিত হচ্ছে।  টেস্ট ক্রিকেটে সীমিত অভিজ্ঞতা থাকলেও ওরা কিন্তু বাংলাদেশকে একমাত্র টেস্টে পূর্ণ শক্তির বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করেছে। তবুও বলবো পরিবর্তিত বাংলাদেশের নতুন কৌশল দিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করবে বলে আস্থা রাখি। তবে স্মরণে রাখতে হবে ধীর ঘূর্ণি উইকেট হলে বিপদে পড়বে বাংলাদেশ। অন্তত ৪-৫ জন আফগান ক্রিকেটার কিন্তু টি ২০ ফ্রাঞ্চাইজ ক্রিকেটে বিভিন্ন দেশে ক্রিকেট খেলে থাকে। 

বাংলাদেশের আরো স্মরণে রাখতে হবে সাকিব থাকবে না। মাহমুদুল্লাহ নেই, তামিম, লিটন ফর্মে নেই, শান্ত, হৃদয়, জাকির হাসান সবাই প্রতিভাবান হলেও  নবীন। আফগানিস্তানের বহুমুখী বোলিং আক্রমণের মোকাবিলায় কতটুকু সফল হবে সন্দেহ আছে। একমাত্র ভরসা মুশফিক। বাংলাদেশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে প্রথম ইনিংসে ৩৫০ + রান করতে হবে, ভালো বোলিং, ফিল্ডিং করে আফগানদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাসকিনকে টেস্ট ক্রিকেটে ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না। একই কথা মুস্তাফিজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এবাদত, খালিদ, শরিফুলকে দিয়ে আক্রমণ সাজাতে হবে। জানিনা মুশফিক হাসানকে সুযোগ দেয়া হবে কিনা। বোলিং আক্রমণ নির্ভর করবে তাইজুল আর মেহেদী মিরাজের উপর। 

আফগানিস্তান টেস্ট এবং টি ২০ ফরম্যাটে অপেক্ষাকৃত এগিয়ে। ওডিআই হয়তো বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। আমি মনে করি না বাংলাদেশের জন্য টেস্ট জয় খুব সহজ হবে। রশিদ খান যে কোনো উইকেটে পার্থক্য গড়ে দিবে। এবার আবার মুজিবসহ সঙ্গী আছে নূর মোহাম্মদ। মন চাইবে বাংলাদেশ লড়াই করুক নবীন প্রবীনের সমাহারে নিজেদের নিবেদন করে।

শেয়ার করুন