১৪ জুন ২০২৩ দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ধারার সংগ্রামী দল বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দলটি বলেছে ২০০৪ সালে তৎকালীন ওয়ার্কার্স পার্টির সুবিধাবাদী নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করে তখনকার পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সাইফুল হক এর নেতৃত্বে পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি গড়ে তোলেন। ২০০৮ সালে পার্টি নির্বাচন কমিশন থেকে কোদাল মার্কায় নিবন্ধন লাভ করে এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ২০১৪ সালে পার্টি নির্বাচন বর্জন করে। ২০১৮ সালে আবারও পার্টি নিজস্ব প্রতীক কোদাল মার্কায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগহণ করে। বাম প্রগতিশীল ধারার আরও পাঁচটি দলও পার্টির নির্বাচনী প্রতীক কোদাল মার্কা নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পার্টি কয়েকটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করে।
আর জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এগিয়ে নিতে ২০০৭ সালে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা গঠনে এবং এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ২০১৮ সালে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠনেও পার্টি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২০২২ সালে গণতন্ত্র মঞ্চ গঠনেও পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক এখন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ১৯ বছর ধরে তেল, গ্যাস, সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলন : শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর আন্দোলন: নারী, সাংস্কৃতিক আন্দোলন : নাগরিক আন্দোলনসহ জনগণের প্রতিটি ন্যায্য আন্দোলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। জনজীবনের প্রত্যেকটি সমস্যা সংকটে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, চুরি দুর্নীতি, অর্থপাচার, রাজনৈতিক দমন, নিপীড়নের বিরুদ্ধেও পার্টি শুরু থেকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে।
২০১৪ সালে একতরফা তামাশার নির্বাচন ও ২০১৮ সালে নজিরবিহীন নির্বাচনী জ্বালিয়াতির বিরুদ্ধে, বিশেষ করে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক সংগ্রামে পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এসব আন্দোলন - সংগ্রামে পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক এবং পার্টির নেতা কর্মীরা বেশ ক’বার গুরুতর আহত হয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন। গত ১৯ বছরে আন্তর্জাতিক পরিসরেও পার্টি পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনেও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
পার্টির ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বলেছেন দেশ ও জনগণের প্রতি অংগিকার ও দায়িত্বশীলতার যায়গা থাকে আগামী দিনগুলোতেও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি অর্জনে পার্টি তার আপোষহীন সংগ্রামী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। তিনি অতীতের মত আগামী দিনগুলোতেও দেশের মানুষ ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ১৪জুন বেলা ১১ টায় ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শপথ গ্রহণ করা হবে। এইপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের পর র্যালি শুরু হবে এবং সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হবে। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। একইভাবে জেলা উপজেলা পর্যায়েও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শপথ গ্রহণ, সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।