বর্তমান সরকারের কোনো আমলেই ‘কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি’ বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এরকম বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে শুক্রবার বিকালে শ্রমিক-কর্মচারির এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ তারা বলে তাদের সময় নাকী নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। আমি পরিস্কার করে বলতে চাই, এই সরকারের কোনো কালে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, কোনো কালেই সুষ্ঠু হয়নি।”
‘‘ এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না।”
বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় সেটি প্রমাণিত। এই নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।”
‘‘ যেসব দেশ বা যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে, তারা এসে দেখে যাক।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আজকে সরকার সম্পূর্ণভাবে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, আজকে সরকার জনগনের ভোটের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে, আজকে সরকার শ্রমিকদের বাঁচার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।”
‘‘ এর মধ্যে আবার এমন এমন কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী যখন আমাদের দেশকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন, আমেরিকা থেকে ফিরে এসে তিনি বললেন যে, আমেরিকা তাকে সরাতে চায়। এটা তো প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা আশা করি না। তার মানে তিনি বুঝে গেছেন যে, আন্তর্জাতিক সিষ্টেম তার পক্ষে নেই, বাংলাদেশেও তার সমর্থন নাই। কারণ বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলছে, আপনি এই মুহুর্তে চলে যান।”
তিনি বলেন, ‘‘ পরিস্কার কথা, পদত্যাগ করে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। কারণ এদেশে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।”
ফখরুল বলেন. ‘‘ এই সরকার জনগনের আন্দোলনকে ভয় পায় বলেই আমাদের নেতৃবৃন্দকে আটকিয়ে রেখেছে। আপনারা জানেন, মহানগর দক্ষিনের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু তাকে দিনের দিন আটকিয়ে রেখে তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না, যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাকে আটকিয়ে রেখেছে, আরও অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটকিয়ে রেখেছে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি এদেশে গণতন্ত্রের মাতা তাকে অসুস্থ অবস্থায় আটক করে রাখা হয়েছে।”
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ‘বিদ্যুতের লোডশেডিং, দ্রব্যের মূল্য কমানোসহ সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহজাদপুরের সুবাস্তু টা্ওয়ারের সামনে শ্রমিক-কর্মচারির এই সমাবেশ হয়। পরে মালিবাগ আবুল হোটেল মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা হয়। এতে শ্রমিক দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ উজ জামান, মহানগর দক্ষিন বিএনপির ইশরাক হোসেন, যুব দলের মামুন হাসান প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
পদযাত্রায় শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কামরুজ্জামান রতন, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হকসহ শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ ছিলেন।
