১২ এপ্রিল ২০১২, বুধবার, ০২:২৬:২৯ অপরাহ্ন


মমতার পদত্যাগ দাবি
কলকাতা প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৩-২০২২
মমতার পদত্যাগ দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে রামপুরহাট মহকুমার বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ নিহত হওয়ার জেরে সহিংসতায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি করেছেন বিজেপির বিধায়কেরা। গত ২২ মার্চ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের নগর উন্নয়নমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় পুলিশের বিশেষ তদন্ত টিম- সিটের তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর সব বলা যাবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে এডিজি (সিআইডি) জ্ঞানবন্ত সিংকে।

এদিকে বীরভূম হত্যাকান্ড নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোট রাজ্য। ২২ মার্চ মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে বিজেপির বিধায়কেরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি তোলেন। এ সময় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলায় স্পিকার দাবি আমলে না নিলে বিজেপির বিধায়কেরা অধিবেশন বর্জন করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, এই হত্যাকান্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। অবিলম্বে মমতার ইস্তেফা দাবি করেন তাঁরা।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তোলেন। অন্যদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বীরভূম হত্যাকান্ডের জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল দাবি করেছেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে টিভিতে আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে রামপুরহাট মহকুমার পুলিশ প্রধান বা এসডিপিও এবং রামপুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সহিংসতায় ঘটনায় মুখ খুলেছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই। বীরভূমের ঘটনা তার প্রমাণ। বীরভূমের ঘটনা একটি গণহত্যা। এর বিচার চাইছে রাজ্যবাসী। তিনি বলেন, নিজেদের লোককে মেরেছে তৃণমূলই।

এদিকে বীরভূম হত্যাকান্ডের পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছেন, এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই। তিনি রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে বীরভূম হত্যাকান্ড নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন।

ভাদু শেখ নিহত হওয়ার পর ২১ মার্চ সোমবার রাত থেকে ভাদু শেখের অনুসারীরা গ্রামের ১০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। একটি বাড়ি থেকেই সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তার মধ্যে দুটি শিশু ও ছয়জন নারী। ওই এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।


শেয়ার করুন