২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৫:০০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


আওয়ামী সিন্ডিকেটই দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ‘লুটপাট’ করছে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০২-২০২৩
আওয়ামী সিন্ডিকেটই দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ‘লুটপাট’ করছে


আওয়ামী সিন্ডিকেটই দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ‘লুটপাট’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক দিন যে বাজারে লুটপাট করে যারা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াচ্ছে তারা আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের লোকজন। আপনারা দেখবেন, যারা এলডিসি খুলতে পারছে আমদানির জন্য তারা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের লোকজন। ডলার দেয়া হচ্ছে তাদের দলীয় লোকজনকে এলসি খুলে পণ্য আমদানি করার জন্য। সাধারণ আমদানিকারকরা কিন্তু পণ্য আমদানি করতে পারছে না। কারণ তাদেরকে ডলার দেয়া হচ্ছে না। আর যারা ডলার নিয়ে এলসি খুলে পন্য আমদানি করছে তারাই উচ্চমূল্যে আমদানিকৃত পণ্য বাজারে বিক্রি করছে।”


সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী বলেন, ‘‘ যাদের হাতে সাপ্লাই তারা ক্ষমতাসীন দলের লোকজন, তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যে কারণে আমদানিকৃত সমস্ত পণ্যের নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতেই চলে গেছে। আমি বলব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে আওয়ামী অর্থনীতির মডেল যা তারাই সৃষ্টি করেছে। আর এর ফল দিতে হচ্ছে, মাসুল দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে। প্রত্যেক মানুষের এই মাসুলের অংক দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ্রখানে একজন বক্তা বলেছেন, টিসিবির ট্রাকের পেছনের দীর্ঘ লাইন হচ্ছে সেখানে কোন ধরণে মানুষরা লাইনে দাঁড়াচ্ছে তা থেকে বুঝা যায় মানুষের অবস্থা কোন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে।”


তিনি বলেন, ‘‘ বাংলাদেশের অর্থনীতির যে মডেল এখন আছে এই মডেল হচ্ছে আওয়ামী লীগের লুটপাটের মডেল। অর্থাত জনগনের পকেট থেকে টাকা েিন্য় যাবে ট্যাক্সের মাধ্যমে, ভ্যাটের মাধ্যমে, উচ্চ গ্যাসের মূল্য, উচ্চ বিদ্যুতের মূল্য, উচ্চ তেলের মূল্য, উচ্চ দ্রব্যমূ্ল্েযর মাধ্যমে জনগনের পকেট থেকে টাকা নিয়ে যাবে। এই টাকা তাদের দলীয় লোকজন লুটপাট করবে, বিদেশে পাচার করবে। সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা ধবংস করে দিয়ে এক শতাংশের কম মানুষের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে আজকে। এই সম্পদ শুধু বাংলাদেশে পূঞ্জীভূত হচ্ছে না, এই সম্পদ এরা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে, টাকা পাচার করে কানাডা, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, তুরস্কে সম্পদ করছে। সারা বিশ্বে আওয়ামী লীগের লোকজনরা সম্পদ পুঞ্জীভূত করছে।”


এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে হটানোর আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে তেল-গ্যাস-দ্রব্যেমূল্য বৃদ্ধি এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।


‘গণতন্ত্র পূণ:প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে’ 


আমীর খসরু বলেন, ‘‘ এখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কাউন্সেলর বাংলাদেশে আছে। তিনি পরিস্কার বার্তা দিচ্ছেন যে দেশে গণতন্ত্র নিম্নগামী বা নিচের চলে যাচ্ছে, গণতন্ত্র থাকছে না সেই দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিম্নগামী থাকবে, সম্পর্ক আস্তে আস্তে কমে আসবে, সহযোগিতা কমে আসবে। অত্যন্ত কঠিন কথা। বাংলাদেশের মাটিতে বসে এই কথা উনি(যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার ডেরেক শোলে) বলেছেন। মানবাধিকার প্রশ্নের কোনো আপোষ নাই বলেছেন।গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যতিত কোনো গণতন্ত্র চলতে পারে না- এইসব কথা ঢাকায় বসে উনারা বলেছেনৃকত অপমানজনক। যারা গণতন্ত্রকামী দেশ যারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, যারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, যারা মানুষের নিরাপত্তায় বিশ্বাস করে, যারা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে আজকে তারা এই কথাগুলো বলছেন।”


‘বিএনপির মাথা ব্যাথা নেই’

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নিয়ে ‘বিএনপির কোনো মাথা ব্যাথা নাই’ বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘‘ কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হচ্ছে এটা নিয়ে আসলে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। আমাদের কথা হচ্ছে এখানে একটি অবৈধ দখলদার সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে, দেশ দখল করে বসে আছে। এই দখলদাররা কাউরে প্রধানমন্ত্রী বানাইছে, কাউরে মন্ত্রী বানাইছে, কাউরে এমপি বানাইছে। তো আরেকটা রাষ্ট্রপতি বানাইছে একটা দখলদার। এদের আইনের কোনো বালাই নেই্, এখানে আইনের প্রশ্ন আসছে না। যারা একে বানাচ্ছে তারাই দখলদার, তারা অবৈধ। সরকার অবৈধ, যে নির্বাচন কমিশন অবৈধ যেখানে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দিয়েছেন, তারা অবৈধ। পুরো বিষয়টা হচ্ছে যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতে তাদের নিয়ে তো প্রশ্নবিদ্ধ । তাহলে কারে রাষ্ট্রপতি বানাইলো, কারে প্রধানমন্ত্রী বানাইলো, কারে মন্ত্রী বানাইলো, কারে এমপি বানাইলো এটা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মাথা ব্যাথা নাই, বিএনপিরও নাই। এটা নিয়ে আলোচনা করারও দরকার নাই।”


সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান, জাগপার আসাদুর রহমান খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



শেয়ার করুন