০১ মে ২০১২, বুধবার, ১১:১৯:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


সীমান্তে ১০ মাসে ১৪ প্রাণহানি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১০-২০২২
সীমান্তে ১০ মাসে ১৪ প্রাণহানি


চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দশ মাসে সীমান্তে মোট ১৪ জন ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এজন্য আসকের গভীর উদ্বেগ ও দু’দেশের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। আসকের পক্ষ থেকে বলা হয় বিগত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংগঠনটি নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেয়া হয়। বলা হয় যে, গণমাধ্যমসূত্রে তারা জেনেছে গত ৮ এবং ৯ অক্টোবর ২০২২, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুই যুবক হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ বুশখালি গ্রামের মক্তব মোড়ের হালদার আলীর ছেলে আবু হাসান (২৭)। আরেকজন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা ছোট বলদিয়া গ্রামের মরহুম নজরুল ইসলামের ছেলে মোনতাজ আলী (৩২)। 

৯ অক্টোবর ভোর ৩টার দিকে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্তের খইতলা এলাকায় আবু হাসানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, তাকে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে রেখে গেছে। যদিও বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে জানতে চাইলে তারা গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এছাড়া ৮ অক্টোবর গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ছোট বলিদিয়ায় বিএসএফের গুলিতে মোনতাজ আলী নিহত হন। মোনতাজ আলীর মরদেহ এখনো কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে ভারতীয় অংশে রয়েছে। 

আসক মনে করে, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিষয়ে দু’দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে ভারতের পক্ষ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হলেও তার বাস্তবায়ন দৃশ্যত হচ্ছে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সাথে এ বিষয়ে জোরালো আলোচনা চালানো প্রয়োজন। একইসাথে কীভাবে এ ধরনের হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করা যায় এবং দায়ীদের চিহ্নিত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে কার্যকর যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। 

আসক এই লক্ষে দ্রুততার সাথে একটি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমিশন গঠন করার দাবি জানাচ্ছে, যা এ ধরনের হত্যাকা-, নির্যাতন ও বলপ্রয়োগের ঘটনা তদন্ত করবে এবং সৃষ্ট সংকট নিরসন করার উদ্দেশ্যে দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

শেয়ার করুন