২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ন


বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির জমজমাট বনভোজন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির জমজমাট বনভোজন বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজনের দৃশ্য


প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বার্ষিক বনভোজন বর্র্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকৃতির লীলাভূমি লং আইল্যান্ডের অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টিনন্দন স্পট হ্যাকশেয়ার স্টেট পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য বছরের মতো বনভোজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় থেকে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়াও অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবাসের এই যান্ত্রিক জীবনে একটু স্বস্তির আশায় বনভোজন স্পটে গিয়ে হাজির হন। মূলত সকাল থেকেই কুমিল্লাবাসীসহ প্রবাসের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বনভোজনে অংশগ্রহণ করেন। সকাল লোকজনের উপস্থিতি একটু কম থাকলেও দুপুরে লোকজনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সূর্যি মামা যখন পশ্চিমে হেলতে থাকে, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আগমনও বাড়তে থাকে। এক সময় পুরো হ্যাকশেয়ার পার্ক যেন কুমিল্লাবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রকৃতির খেলা আর মানুষের মেলায় প্রাণবন্ত হয়ে বনভোজন স্পট। বনভোজনে ছিল বিভিন্ন বয়সী নতুন প্রজন্ম, নারী-পুরুষের খেলার আয়োজন। সঙ্গে ছিল চুটিয়ে আড্ডা মারার আয়োজন। যে যার মতো করে গাছের ছায়ায় শীতল বাতাসে বসে আনন্দ- উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। সঙ্গে ছিল সকালের নাশতা, মাজাদার খাবার, চানাচুর ভাজা এবং পানসুপারি। বনভোজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা।

সুুন্দর এই বনভোজনের উদ্বোধন করে সংগঠনের সভাপতি ডা. এনামুল হক এবং কাজী এনামুল হক। সাধারণ সম্পাদক এ বি সিদ্দিক এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহেল গাজীর চমৎকার উপস্থাপনায় বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্বোধন করা হয়। এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বনভোজনের আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, সদস্যসচিব আব্দুল হান্নান ভুইয়া, প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর সরকার, সংগঠনের সহ-সভাপতি এবং রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি মামুন মিয়াজী, উপদেষ্টা জামান তপন, যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাছান মামুন, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফুল আলম, সাবেক জেলা জজ নূর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ইউনুস সরকার, কাজী তোফায়েল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, আমিন খান জাকির, ফারুক হোসেন মজুমদার, বাসেদ ভূঁইয়া, বিপ্লব সাহা, সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ টিটু, রুহী সাহা, লিটন, লুৎফর রহমান চুন্নু, সাইফুল ইসলাম লিটন প্রমুখ।

বনভোজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাবেক সিনিয়র জজ নূর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনূছ সরকার, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাছুম, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি বাবুল চৌধুরী, আমিন খান জাকির, ফারুক হোসেন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির, হাজী ইসমাইল মিয়া, বাসেদ ভুইয়া, ইয়ার আহমেদ পাটোয়ারি, আবু চৌধুরী, আব্দুস সামাদ টিটো, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা, বিজয়নগর উপজেলা সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর আব্দুল বাছির, সমাজকর্মী সাইফুল ইসলাম, বনভোজন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কাজী তোফায়েল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান মামুন, যুগ্ম-সদস্যসচিব সাইফুল আলম, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারি, পৃষ্ঠপোষক আবুল খায়ের আকন্দ, হাজী ইসমাইল মিয়া, বনভোজন কমিটির উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আলম হারুণ, প্রফেসর মনির হোসেন খান, কবীর হোসেন অভি, সাইদুজ্জামান রিংকু, জমিস উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম রিয়াদ, শাসছু উদ্দিন শামীম, মাহবুবুর রহমান মিঠু, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, নূরুজ্জামান মনির, গোলাম মহিউদ্দিন, নূরে আলম মানির, নাজির উদ্দিন পাটোয়ারি, দাবির হোমেন শামীম, মোহাম্মদ আলম সরকার, শাহ মোয়াল্লেম, আবুল হোসেন, মির্জা দস্তগীর, হাসান মাহমুদ সোহেল, মোবারক হোসেন, সেলিম আহমেদ প্রমুখ। বনভোজন সফল এবং সার্থক করতে যারা সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন তারা হলেন, মোহাম্মদ ইউনুছ সরকার, দলিলুর রহমান, তৈয়মুর রেজা, হাজি পেয়ার আহমেদ, বাসেদ ভূইয়া, মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, নাদিম ইকবাল, জাকির হোসেন, তাফাজ্জুল হাসেন, ফারহানা আক্তার, নূরুল ইসলাম, আবু জাফর ইকরাম, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন মোল্লা, মনির হোসেন, মাহবুবুর রহমান, জামিল খান, মোহাম্মদ টিপু, মনিরুল ইসলাম, মাহবুব আলম, আ. আলী মিয়াজী, মোহাম্মদ আলম, তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদেক, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মাসুদ, জামান, কলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ বাকের, মোহাম্মদ রহিম ভুইয়া প্রমুখ।

সারাদিন বনভোজন শেষে বিতরণ করা হয় পুরস্কার। পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বিভিন্ন খেলাধুলায় পুরস্কার প্রাপ্তরা হলো আনিছা, আফসানা, শারমিন জামান মীম, নাঈমরা, ঈশা, আরকা হোসেন, সোনাইসার, রোকেয়া আক্তার, ফারহানা আক্তার,অনিতা নেছা, অনিক দাস, বোরহান উদ্দিন জুলহাস, রিফাত, রইল উদ্দিন আহমেদ, তাহসিন, ইফাত, আহাদ, সাহাদাত মালিক, অভি, মাহি, রাতুলসহ অনেকে। এছাড়া সর্বোচ্চ রাফেল ড্রর বিক্রির জন্য ৩ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়।

সবশেষে ফুড কুপন ক্রয়ের জন্য তিনজনকে পুরস্কার দেয়া হয়। এরপর র‌্যাফেল ড্রর ২টি প্রথম পুরস্কার নগদ ১০০০ ডলার করে, দ্বিতীয় পুরস্কার স্বর্ণের চেইন ও তৃতীয় পুরস্কার ৬৫ ইঞ্চি টিভিসহ মোট ১১টি মূল্যবান পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পরিশেষ সভাপতি ড. এনামুল হক মিলনমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সাধারণ সম্পাদক এ বি সিদ্দিক এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহেল গাজী বনভোজনকে সফল করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামীর আমন্ত্রণ জানান। তাদের কথাতেই বিদায়ের সুর বেজে ওঠে। প্রত্যাশা দেখা হবে বন্ধু আগামীতে।

শেয়ার করুন