২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:২৬:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


মির্জা ফখরুল মনে করেন
সরকার কমিশন পেতেই এয়ারবাস কিনছে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৯-২০২৩
সরকার কমিশন পেতেই এয়ারবাস কিনছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


কমিশন পেতেই সরকার ফ্রান্স থেকে দশ এয়ারবাস কিনছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে খেতে দিতে পারে না, দেশের মানুষের অসুখ নিরাময় করতে পারে না, হাসপাতাল তৈরি করতে পারে না, স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারেন না, তার (মানুষ) ভোটের অধিকার দিতে পারে না। সেই সরকার যে বিমান (বাংলাদেশ বিমান) ভেঙে পড়ছে, যে বিমানে কোনো সার্ভিস ঠিক মতো দিতে পারে না সেই বিমানের জন্য ১০টা এয়ারবাস কিনে দেবে তাতে চুরি করার সুবিধা হবে এবং তারা ইমিডিয়েটলি বোধহয় কমিশনও কেটে নিয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, এই যে দেখেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এসে গেলেন। খুব ভালো কথা, আমাদের বড় মেহমান। সেই মেহমানকে খুব ভালো আপনারা নাচ-গান দিয়ে-স্বাগত জানিয়েছেন, তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ এই করুণ অবস্থার মধ্যে খেতে না পেয়েও তারা একটু ভেবেছে যে, বোধ হয় কিছু হচ্ছে। কি হলো? বলা হলো ১০টা এয়ারবাস কেনা হবে। আসল লক্ষ্য এই এয়ারবাসে ফিটব্যাক পাওয়া যায়। ফিটব্যাক বুঝেন- ফিটব্যাক মানে হচ্ছে কমিশন। বোয়িংয়ে কমিশন পাওয়া যায় না। যেকারণে ১০টা এয়ারবাস কেনা হচ্ছে। আর কি? স্যাটালাইন-২। আবার প্ল্যাট তৈরি করা হবে।

নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক তিনদিনের লিফলেট বিতরণের এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।

ঢাকা উত্তরে মিরপুর জোনে মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের কাছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিকালে লিফলেট বিতরণ করবেন।

লিফলেট বিতরণের উদ্বোধনকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ফরহাদ হালিম ডোনার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, তাইফুল ইসলাম টিপু, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশের অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দ  ফটুপাতের পথচারীসহ যানবাহন চালক ও যাত্রীদের মধ্যে লিফলেট তুলে দেন।

‘এই সরকার ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়াবহ’

মির্জা ফখরুল বলেন, এই ডেঙ্গ মশার চাইতেও ভয়াবহ হচ্ছে বর্তমান এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। আমাদেরকে একদিকে ডেঙ্গু মশা তাড়ানোর জন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে অন্যদিকে সর্বশক্তি নিয়োগ করে এই ভয়াবহ দানব তাদেরকে সরানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা লিফলেট বিতরণ শুরু হয়েছে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতনের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে খেতে দিতে পারে না, চাল-ডাল-তেলের দাম কমাতে পারে না। অন্যদিকে এই যে মহামারী ব্যাধি যা প্রতিনিধি আমাদের মানুষের প্রাণ নিয়ে যাচ্ছে, শিশুদের জীবন নিয়ে যাচ্ছে। এখন বর্তমানে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।  এই সরকার একটা সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার। এখানে দুইটি সিটি করপোরেশনের মেয়র আছেন যারা জোর করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তারা ডেঙ্গু মশা নিধনের নামে যে ঔষধ কিনে নিয়ে আসে বাইরের থেকে সেখানেও তারা চুরি করে। এদের প্রধান লক্ষ্য একটাই চুরি করা, দুর্নীতি করা। সব কিছুর মূলে, সব কাজের মূল্যে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে চুরি।

শেয়ার করুন