বক্তব্য রাখছেন এম এ মালেক
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের শত্রু এবং বাংলাদেশের জনগণের শত্রু। যখনই তারা ক্ষমতায় ছিল তখনই তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রতে হত্যা করেছে এবং বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, বিরোধী দলকে নিচিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সফররত যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বায়ক এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আলহাজ এম এ মালেক নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
নিউইয়র্ক মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে এবং সদস সচিব ফয়েজ চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভাটি গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের আলাস্কা চাইনিজেন পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম এ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন, বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিশিগান বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আকমল চৌধুরী, বরিশাল বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ডা. আব্দুস সবুর, শরিফ আহমেদ লস্কর, বিএনপি নেতা মাহমুদুল্লা মামুন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, ইমরান শাহ রন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপি, ব্রঙ্কস পূর্ব এবং পশ্চিমের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এম এ মালেক আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি এসেছিলাম অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ করার জন্য। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমাদের এখন প্রধান কাজ হচ্ছে অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার পতনে আন্দোলন করা। এই সরকার বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি করে দেশে অর্থনীতির সর্বনাশ করেছে। আর বিদেশে সম্পদ পাচার করছে। তিনি বলেন, কোনো কারণে যদি শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসে, তাহলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশ ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত হবে, বাংলাদেশে ভারতের পতাকা উড়বে। তিনি আরো বলেন, দেশ রক্ষা শুধু বিএনপির দায়িত্ব নয়, এই দায়িত্ব বাংলাদেশের সব জনগণের। এই ভোট চোর মাফিয়া সরকারের কাছ থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। খালেদা জিয়ারকে মুক্ত করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং ফরমায়েশি রায় দিয়ে তাকে জেলে রেখেছে। অথচ তিনি কোনো অন্যায় করেননি। যে ২ কোটি ছিল সেটি এখন ১২ কোটিতে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের শত্রু এবং বাংলাদেশের জনগণের শত্রু। যখনই তারা ক্ষমতায় ছিল তখনই তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রতে হত্যা করেছে এবং বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। এখন আমাদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। আশা করি, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই এই সরকার পদত্যাগ করবে। এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। যে কারণে তারা সেলফি তোলার জন্য পাগল হয়ে যায়।
বেবী নাজনীন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে জানিয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, তাই তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। সুতরাং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে যেতে হবে। আর এজন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, আমাদের এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে দেশ রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা করা। এটি নিশ্চিত করতে হলে শেখ হাসিনার পতনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।
ডা. আব্দুস সবুর যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দেওয়ার অনুরোধ জানান যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বায়ক এম এ মালেককে।
অনুষ্ঠানে অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মহানগর উত্তর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন সোলায়মান এবং দোয়া পরিচালনা করেন অব্দুর রহিম।
