২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৯:০৩:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দেশকে তৌকীর আহমেদ
চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে বইপত্র ঘাটতে হয়েছে
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে বইপত্র ঘাটতে হয়েছে তৌকির আহমেদ


তৌকীর আহমেদ। নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা। সম্প্রতি দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভূমিকায়। এ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রবাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন: লম্বা বিরতির পর অভিনয় করলেন। তাও ঐতিহাসিক ছবিতে। অভিজ্ঞতা কেমন?

তৌকীর আহমেদ: সিনেমার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। কারণ মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি খুবই পরিকল্পিত। আর গুছানো যে কোনো কিছুই আমার ভালো লাগে। 

প্রশ্ন: আপনি কি মনে করে এই সিনেমাটি হিট সিনেমার তকমা পাবে?

তৌকীর আহমেদ: সিনেমাকে ঠিকঠাকভাবে প্রচার করা বা আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে পারলে হিট না হওয়ার কোনো কারণ নেই। একটা সিনেমা হিট হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে সেই সিনেমার ভালো বা খারাপ হওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না।

প্রশ্ন: এই সিনেমায় নাকি তাজউদ্দীন আহমেদের চরিত্রে অডিশন দিয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর করেছেন?

তৌকীর আহমেদ: আমি এ ছবিতে শুধু কাজ করতে চেয়েছিলাম। যখন শুনলাম তাজউদ্দীনের পরিবর্তে আমাকে সোহরাওয়ার্দী চরিত্রে অভিনয় করতে হবে, তখন আমি এটিকে প্রমোশনই মনে করেছি। কেননা, সিনেমায় তাজউদ্দীন সাহেবের চরিত্রের ব্যাপ্তির চেয়ে সোহরাওয়ার্দীর চরিত্রটির ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বেশি। আমি আমার জায়গা থেকে সেরাটা করার চেষ্টা করেছি। এখন দর্শকরা আমার অভিনয়ের জন্য অনেক ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। এটি ভালো লাগছে। 

প্রশ্ন: এমন একটি চরিত্র ফুটিয়ে তোলা কতটা কঠিন ছিল?

তৌকীর আহমেদ: আসলে শিল্পের যে কোনো কাজই একটি চ্যালেঞ্জ। ঐতিহাসিক চরিত্র ফুটিয়ে তোলা আরও কঠিন। কারণ, সেটি মানুষের পারসেপশনে আছে, ইতিহাসের পাতায়ও আছে। সুতরাং সেটিকে যেনতেনভাবে উপস্থাপন করা যায় না। তাই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে এবং ভেবেচিন্তে কাজটি করতে হয়েছে। 

প্রশ্ন: এই চরিত্রের জন্য আপনার প্রস্তুতি কী রকম ছিল?

তৌকীর আহমেদ: অভিনেতা হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চরিত্র ধারণ করা যে কারও জন্যই আনন্দের। আমাদের দেশ ও রাজনীতির ইতিহাসে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক চরিত্র। আমাদের দেশের ইতিহাসে তাঁর ভূমিকা অনেক। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে তাঁর প্রভাব অত্যন্ত তাৎপর্যময়। সুতরাং একটি বড় পরিসরে প্রস্তুতি তো নিতেই হচ্ছে। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে নানান বইপত্র ঘাটতে হয়েছে আমাকে। মূলত সোহরাওয়ার্দীর জীবনী এবং তাঁর ওপর লেখা বিভিন্ন বই আমাকে দারুণ সাহায্য করেছে। কিছু ব্যক্তির অভিজ্ঞতা থেকেও তথ্য পেয়েছি, যারা তাঁকে দেখেছেন। অনেকের স্মৃতিচারণের মধ্য থেকেও তাঁর সম্পর্কে জেনেছি। তাঁর ইন্টারভিউর কিছু ফুটেজ দেখেছি। সেগুলো কাজে লেগেছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটি ব্রিফ দিয়েছিলেন। তিনি আমায় বলেছিলেন, উনি কিন্তু ভালো বাংলা বলতে পারেন না। ইংরেজি, উর্দু এসব মিলিয়েই চরিত্রটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন: নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের কী বক্তব্য ছিল?

তৌকীর আহমেদ: শ্যাম বেনেগাল অনেক গুণী নির্মাতা। তিনি একজন অভিনেতার ওপর নির্ভর করেছিলেন। মনে আছে, তিনি আমাকে কোথাও ডিকটেক করেননি। প্রতিটি দৃশ্যের চিত্রায়ণের পর উৎসাহ দিয়েছেন। 

প্রশ্ন: মঞ্চে কাজের অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লেগেছে?

তৌকীর আহমেদ: অভিনয় তো অভিনয়ই। তা যে মাধ্যমেই হোক না কেন। এর পরও মঞ্চের অভিজ্ঞতা আমার সব সময় কাজে লাগে। কারণ, আমার বিদ্যাপীঠ তো মঞ্চ। যা শিখেছি, মঞ্চ থেকেই শিখেছি। এরপর সেগুলোর অনুশীলন করেছি। এখনও করছি। ভালো লেগেছে। লোকেও ভালো বলছেন।

শেয়ার করুন