০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৮:৩৪:৬ অপরাহ্ন


পথশিশুদের সাহায্যার্থে জ্যামাইকায় পথ মেলা ২৯ মে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৫-২০২২
পথশিশুদের সাহায্যার্থে জ্যামাইকায় পথ মেলা ২৯ মে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকবৃন্দ


বাংলাদেশে পথশিশুদের সাহায্যার্থে নবগঠিত সংগঠন জ্যামাইকা বাংলাদেশ-আমেরিকান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পথ মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৯ মে। দিনব্যাপী এই পথ মেলা জ্যামাইকার ১৬৫ থেকে ১৬৮ স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত হবে। গত ৭ মে বিকেলে জ্যামাইকার স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে নাসির আলী খান পল এই তথ্য জানান। নবগঠিত সংগঠন জ্যামাইকা বাংলাদেশ-আমেরিকান ফাউন্ডেশনের কর্তধার নাসির আলী খান পলের সাথে সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্র নাথ রায়, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শহীদ হাসান, মেলার প্রধান সমন্বয়কারী লায়ন্স কাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট রশিদ আহমেদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস কাবের প্রেসিডেন্ট, মূলধারার রাজনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ডিস্ট্রিক্ট ২৪ থেকে অ্যাসেম্বলিম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট সৈয়দ রাব্বী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস কাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী, জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, ডা. নার্গিস রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা জে মোল্লা সানি, বাংলাদেশ সোসাইটির প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, মোহর খান, বাংলাদেশে ছায়াতলের কর্মকর্তা জিয়া হায়দার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে নাসির আলী খান পল বলেন, বাংলাদেশের পথশিশুদের সাহায্যের কথা চিন্তা করেই আমাদের এই আয়োজন। মেলার গেট মানি ধরা হয়েছে এক ডলার করে। তবে এটা প্রযোজ্য নয়। যারা পথশিশুদের কথা চিন্তা করে অর্থ দেবেন তাদের সেই অর্থ পথ শিশুদের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে। মেলা বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেলার প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার ডলার। এই অর্থ স্পন্সর এবং মেলার স্টল থেকে সংগ্রহ করা হবে। গ্র্যান্ড স্পন্সর ১০ হাজার ডলার। আর স্টল দেয়া হবে ৫০ থেকে ৬০টা। প্রতিটি ২৫০ ডলার করে। আর কমার্শিয়াল বা খাদ্যের স্টল ৫০০ ডলার করে। তবে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসে যারা মেলা করেন তাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমি জেনেছি কোন মেলাই লাভজনক হয় না। তাহলে করছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছি, আশা করি প্রবাসী বাংলাদেশিরা সহযোগিতা করবেন। তিনি আরো বলেন, মেলায় ৫ ডলার করে র‌্যাফেল ড্র’র ব্যবস্থা রাখা হবে। র‌্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার গাড়ি, দ্বিতীয় পুরস্কার নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক টিকেট এবং স্বর্ণের চেইনসহ আরো পুরস্কার দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে ১০০ শিশুকে সাহায্য করবো। তবে এই মেলা থেকেই কার্যক্রমটি শুরু করতে চাই।

আয়োজক সংগঠন নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সংগঠনটি আমি আমার নামে করেছি। আগামীতে বা মেলার দিন আরো কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করা হবে।

রথীন্দ্র নাথ বলেন, আমি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এখানে বসে যে বাংলাদেশের পথশিশুদের সাহায্যের কথা চিন্তা করা হচ্ছে এটাও অনেক বড় বিষয়। আমি মনে করি, এটি একটি মহত কাজ। এই কাজের সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।

শহীদ হাসান বলেন, এটি একটি মহত এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই উদ্যোগের সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।

আহসান হাবিব সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং মেলার সাফল্য কামনা করে সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন