০৬ মে ২০১২, সোমবার, ০৫:০৯:৪১ পূর্বাহ্ন


এনওয়াইসিটির ব্যতিক্রমী ফ্যামিলি নাইট
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২৪
এনওয়াইসিটির ব্যতিক্রমী ফ্যামিলি নাইট বাংলাদেশি আমেরিকান এনওয়াইসিটির অনুষ্ঠানে অতিথি ও আয়োজকবৃন্দ


বাংলাদেশি-আমেরিকান এনওয়াইসিটির ব্যতিক্রমী ফ্যামিলি নাইটে উপস্থিত সবার আনন্দ-উল্লাসে মুখরিত হয়ে উঠেছিল কুইন্সের জয়া পার্টি হল। অনুষ্ঠানে ছিল শুভেচ্ছা বিনিময়, আড্ডা, সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, নাচ-গান, র‌্যাফেল ড্র আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিশু-কিশোর-কিশোরীদের আনন্দের জন্য ছিল ভিন্ন আয়োজন। অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছিলেন নিউইয়র্ক সিটির এমটিএর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ আর সমর্থন সব মিলয়ে একটি সফল অনুষ্ঠান হলো সিটির এমটিএতে কর্মরত বাংলাদেশিদের ফ্যামিলি নাইট। 

নিউইয়র্কের উডহ্যাভেন বুলেভাডের জয়া পার্টি হলে গেল গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় উল্লিখিত ফ্যামিলি নাইট। জানা যায়, সিটির এমটিএতে ৭ শতাধিক বাংলাদেশি বিভিন্ন পদে কর্মরত। তাদের নেই কোনো সংগঠন। তবে পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি জোরদারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বিনোদনের জন্য প্রতি বছর আয়োজন করা হয় ফ্যামিলি নাইট। এজন্য অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটি গঠন করে চলে তার কার্যক্রম। এবার এই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন স্টেশন এজেন্ট রোকশানা বেগম। তার নেতৃতে গঠিত কমিটি চমৎকার অনুষ্ঠান আয়োজন করে উপস্থিত সবার মন কাড়ে। খবর ইউএনএর। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনওয়াইসটির প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডেভি, বিশেষ অতিথি ছিলেন এনওয়াইসটির চিফ অফিসার (স্টেশন ডিপার্টমেন্ট) সেলিনা হুটশন, পরিচালক (কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার) গারম্যানি জ্যাকসন, আরটিও জেনারেল সুপারিনটেনডেন্ট (ট্রেন অপারেশন) ফারহাদুল ইসলাম, টিডব্লিউ লোকাল ১০০ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডেভিস, সেক্রেটারি অব ট্রেজারার জন চ্যারিলো, ভাইস প্রেসিডেন্ট (স্টেশন ডিভিশন) রবার্ট কেলি, ডিভিশন রেকর্ডিং সেক্রেটারি (স্টেশন) শামীম আহমেদ প্রমুখ।

সিটির এমটিএতে কর্মরতদের রেজিস্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফামিলি নাইট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক স্টেশন এজেন্ট রোকশানা বেগম। এরপর আমন্ত্রিত অতিথি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। লক্ষণীয় বিষয় ছিল যে, বক্তব্য পর্বে অতিথিরা ২/১ মিনিটের মধ্যেই তাদের বক্তব্য শেষ করলেও তাদের বক্তব্যে ছিল অনুষ্ঠানের প্রশংসার পাশাপাশি সিটি প্রশাসনে বাংলাদেশিদের অর্জন আর গৌরবের কথা। তারা বলেন, সিটির বিভিন্ন সেক্টরে বিশেষ করে এমটিএতে কর্মরত বাংলাদেশিরা তাদের যোগ্যতাবলেই এগিয়ে যাচ্ছেন। 

অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে পৃষ্ঠপোষক রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গ্রিন ম্যাকানিক্যাল ইয়াকার্সের প্রেসিডেন্ট তোফায়েল চৌধুরী, স্যানম্যান এক্সপ্রেসের সিইও মাসুদ রানা তপন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানের মাঝেমধ্যে এমটিএতে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল বাংলাদেশিরাও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। 

বাংলাদেশি-আমেরিকান সুপারিনটেনডেন্ট তারেক আহমেদ অনুষ্ঠানে এমটিএর বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশিদের গ্রুপে গ্রুপে পরিচয় করিয়ে দেন। সমগ্র অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন স্টেশন সুপারভাইজর আনাফ আলম ও স্টেশন এজেন্ট প্রমিতা সুমি। 

বিনোদন পর্বে বাংলাদেশি-আমেরিকান এনওয়াইসিটির সদস্যরা কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত এবং তাদের পরিবারের সন্তানরা নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে গ্রুপ নৃত্য পরিবেশন করে সুপ্তি, সানভি ও হেয়া, একক নৃত্য পরিবেশন করেন প্রিয়ন্তী পাল, কবিতা আবৃত্তি করেন স্টেশন সুপারভাইজর অশোক ভ্রম্মচারী ও স্টেশন এজেন্ট দীপক দাস, সংগীত পরিবেশন করেন স্টেশন এজেন্ট গোপাল দাস ও তার স্ত্রী অপর্ণা রায়, একক সংগীত পরিবেশন করেন স্টেশন এজেন্ট কাঞ্চন দাস ও বাস অপারেটর মাসিতুল্লাহ। অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় শিল্পী ছিলেন ত্রিনিয়া হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই গানের তালে তালে সুর মিলিয়ে নেচে নেচে এই পর্ব উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন কমিটিতে আরো যারা ছিলেন তারা হলেন-শামীম আহমেদ, আজাদ তালুকদার, এনামুল হক জনি, যোবায়ের আহমেদ, কৌশিক বিশ্বাস, সাইফ আজাদ, দীপক দাস, গোপাল দাস, মোহাম্মদ মাসুম, কাঞ্চন দাস, মমিন হোসাইন, সুজন সাহা, শফওয়ান চৌধুরী, সামাদ মিয়া ও রুশদী হক।

শেয়ার করুন