২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৭:৫৪:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


সাকিবের মাইলস্টোন সৃষ্টির ম্যাচে বাংলাদেশের বড় পরাজয়
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৭-২০২২
সাকিবের মাইলস্টোন সৃষ্টির ম্যাচে বাংলাদেশের বড় পরাজয় ব্যাটিংয়ে সাকিব/ফাইল ছবি


বাংলাদেশ পেস বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ১৯৩/৫ রান চূড়ায় তুলে দিয়েছিলো। অনেকের জানা আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজের মাঠেই ১৬৫ প্লাস রান করে কোনো টি-২০ হারেনি। বিশেষ করে চৌকষ খেলোয়াড় রভমান পাওয়েল ২৮ বলে অপরাজিত ৬১ (দুই চার,৬টি ছক্কা) বেপরোয়া ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছুড়ে ফেলে। 

সারাক্ষন কিপ্টে বোলিং করতে থাকা সাকিবের শেষ ওভারে ৩টি বিশাল ছক্কা সহ তুলে নেয় ২৩ রান। 

জবাবে বাংলাদেশ সাকিবের অপরাজিত ৬৮ সত্ত্বেও করতে পারে ১৫৮/৬।  ৩৫ রানে হেরে বাংলাদেশ দুই ম্যাচ শেষে ০-১ পিছিয়ে আছে। গায়ানা অনুষ্টিতব্য শেষ ম্যাচে জয় পেলেও সিরিজ ফলাফল হবে ১-১।

তবে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা চৌকষ খেলোয়াড় সাকিব ৬৮ রান ( ১০ম টি ২০ অর্ধশত) করার পর্যায়ে ২০০৫ রান এবং ১২০ উইকেট নিয়ে নতুন শৃঙ্গে। ক্রিকেট ইতিহাসে সকিব প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে এই গৌরবের অধিকারী।

কাল কিন্তু জোরের গতিতেই শুরু করেছিল   মায়ার্স , কিং জুটি। তবে শুরুতেই আঘাত হেনে মেহেদী এবং সাকিব কাজের কাজ করে দিয়েছিলো। কিন্তু তাসকিন, মুস্তাফিজ আর শরিফুলের অনিয়ন্ত্ৰিনত বোলিংয়ের কারণে বাংলাদেশ গতিপথ হারায়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঝড়ের গতিতেই রান তুলতে থাকে কিং-পুরান জুটি। বিকল্প বোলার হিসেবে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ , মোসাদ্দেককে আক্রমণে এনে সাফল্য পেলেও অজানা কারণে ওকে আর সুযোগ দেয়নি। এই সময় কিং এবং পাওয়েল জুটি হ্যারিকেন নিয়ে আসে উইন্ডসর পার্কে। তছনছ করে দিতে থাকে সব। চার ছক্কার প্লাবন বইতে থাকে। কিং ৫৭ রানে থামলেও পাওয়েল ২৮ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকে।

 ১৯৩ /৫ উইকেটে শেষ করে কঠিন টার্গেট ছুড়ে দেয় বাংলাদেশকে।

সত্যি বলতে কি এই লক্ষ্য তারা করে জেতার সামর্থ এখন নেই বাংলাদেশের। তবুও যদি ভালো সূচনা হতো কাছাকাছি যেতে পারতো। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ওভার এবং মাকোয়ের প্রথ ওভারে পর পর দুই বলে লিটন এবং বিজয় আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশ ইনিংস বিশাল ধাক্কা লাগে। রিয়াদ সাকিব জাতীয় জমতে পারে নি। সাকিব শুরু থেকেই ভালো খেলছিল।

বলের মেধা বিচার করে। তরুণ আফিফ দারুন সঙ্গে দিচ্ছিলো। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে একটু ছটফট করতে থাকা আফিফ ৩৪ রান করে অকারণ  শট খেলার খেসারত গুনে উইকেট বিসর্জন দিয়ে। এতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে বাংলাদেশ। বাকি সময় সাকিবের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশের পক্ষে ৬উইকেট হারিয়ে ১৫৮ করা সম্ভব হয়। ব্যাবধান ৩৫ রানের। সাকিবের ৫২ বলে অপরাজেয় ৬৮ রানের ইনিংস ৫ টি চার এবং ৩ টি ছক্কা দিয়ে সাঝানো।

বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওদের মাটিতে টি -২০ ম্যাচ জিততে পারে নি। ওদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে একটি ম্যাচ জয় করেছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। ০-১ মাঠে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে এখন শেষ ম্যাচ জেতার অনেক কষতে  হবে। 


শেয়ার করুন