২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


এরিক অ্যাডামসের আইফোন আইপ্যাড জব্দ করলো এফবিআই
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
এরিক অ্যাডামসের আইফোন আইপ্যাড জব্দ করলো এফবিআই নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস


নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস কী ফেঁসে যাচ্ছেন? তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অর্থ সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে যুক্ত সূত্র থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের কয়েকটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করেছে এফবিআই। এরিক অ্যাডামসের নির্বাচনী শিবিরের বরাত দিয়ে বলা হয়, গত ৬ নভেম্বর রাতে মেয়রের দুটি আইফোন ও একটি আইপ্যাড জব্দ করেছে এফবিআই। ওইদিন ম্যানহাটনে একটি অনুষ্ঠান শেষে মেয়রের নিরাপত্তা কর্মীদের একটু দূরে সরে থাকার নির্দেশ দিয়ে এফবিআই কর্মকর্তারা দ্রুত মেয়রের সঙ্গে তার গাড়িতে উঠে পড়েন। তারা মেয়রকে আদালতের নির্দেশনামা দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা দুটি ফোন ও আইপ্যাডটি জব্দ করেন। প্রায় চার দিন পর নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক সরকারের দেওয়া অবৈধ বিদেশি অনুদান এরিক অ্যাডামসের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়েই তদন্ত করছে এফবিআই। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এরিক অ্যাডামস। গত ১০ নভেম্বর তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের আইনজীবী বয়েড জনসন জানান, এফবিআই অভিযোগটির ব্যাপারে মেয়রকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, এফবিআইয়ের অনুরোধে মেয়র এরিক তার ইলেকট্রনিকস ডিভাইসগুলো জমা দিয়েছেন। এরিকের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি এবং তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এরিক অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একজন প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি আশা করি, আমার সব স্টাফ আইন মেনে চলবেন এবং যেকোনো ধরনের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। আমিও ঠিক সেটাই করবো। আমার লুকানোর কিছু নেই।’ গত সপ্তাহে এরিক অ্যাডামসের নির্বাচনী প্রচারণায় শীর্ষ তহবিল সংগ্রহকারী ব্রায়ানা সাগসের ব্রুকলিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হলে তদন্তটির ব্যাপারে প্রথম জানা যায়। ২৫ বছর বয়সী সাগস একজন লবিস্ট এবং অ্যাডামসের প্রাক্তন সহযোগী। এফবিআই তখন দুটি ল্যাপটপ, তিনটি আইফোন এবং ‘এরিক অ্যাডামস’ নামের একটি ফোল্ডার জব্দ করেছে বলে জানা গেছে। নিউইয়র্কের আরো কয়েকটি বাড়ি এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও এফবিআই তল্লাশি করেছে। তবে এরিক অ্যাডামসের ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করার মাধ্যমে তাকে সরাসরি তদন্তে যুক্ত করা হলো। সার্চ ওয়ারেন্ট পর্যালোচনা করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় তুরস্ক সরকারের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না এরিক অ্যাডামস সেই ইঙ্গিত ছিল। সেই সঙ্গে অন্য কোনো দেশের অনুদানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে এফবিআই।

শেয়ার করুন