২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:০৭:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


‘একরতফা পাতানো’ নির্বাচনে ভারত মদদদাতা : রিজভী
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
‘একরতফা পাতানো’ নির্বাচনে ভারত মদদদাতা : রিজভী রুহুল কবির রিজভী


বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভারতের প্রভাব দেখছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি মন্তব্য করেছে যে বাংলাদেশে ‘একরতফা পাতানো’ নির্বাচনে ভারত মদদদাতা। গত ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘বিএনপিসহ সব দলকে বাদ দিয়ে ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনের অন্যতম মদদদাতা হিসাবে পার্শ্ববর্তী দেশের নাম সর্বজনবিদিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে একদলীয় নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গাইছেন। ভারতীয় কূটনীতিকরা বাংলাদেশে এসে বলেছেন, তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা চান। বাংলাদেশের গণতন্ত্র-মানুষের অধিকার চান না। এখন তাদের থলের বিড়াল বেরোতে শুরু করেছে। সেজন্য ভারত মনোনীত প্রার্থীরা বীরদর্পে বলছেন, ‘আমাকে ভারত মনোনয়ন দিয়েছে। আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি।’

বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, ‘মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক দুই মেয়াদের অটোপাশ সংসদ-সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেছেন, তিনি ভারতের প্রার্থী। এখানে হারার জন্য আসেননি।’ তাহলে বাংলাদেশ কি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ? তলে তলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কি বিকিয়ে দেওয়া হয়েছে? ভারত এখন তাদের এ দেশীয় অনুচরদের নমিনেশনও দিচ্ছে? প্রফেসর আব্দুল মান্নানের এই বক্তব্য চরম রাষ্ট্রদ্রোহিতা। অথচ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা প্রতিবাদেরও সাহস পায় না সরকার বা নির্বাচন কমিশন। সরকার স্বীকার করে নিয়েছে ভারত তাদের অনুগত বহুসংখ্যককে মনোনয়ন দিয়েছে।’ এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমরা জানতে চাই প্রফেসর আব্দুল মান্নানের মতো আর কে কে ভারতের প্রার্থী তার তালিকা প্রকাশ করা হোক। দেশের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান গণতন্ত্র হত্যার জন্য ভারতের প্রার্থীদের বিজয়ী করার এই পাতানো নির্বাচনে কেউ ভোট দেবেন না। দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে না চাইলে ভোট বর্জন করুন। তারা (আ.লীগ) নির্বাচিত হলে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়।’ 

রিজভি আরও বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি একদলীয় ডামি নির্বাচন ঘিরে একদিকে চলছে রীতিমতো রঙ-তামাশা। অন্যদিকে নৌকা-ডামির কামড়াকামড়ি, গোলাগুলি, খুনোখুনি, সংঘাত-সহিংসতায় জনপদগুলো বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকাছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। আর নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। ভোটের উৎসবের বদলে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা সর্বত্রই। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সর্বত্রই। রুহুল কবির বলেন, ‘বিরোধী দলহীন পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ না থাকলেও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে তাদের রেহাই নেই। তারা দেশটাকে যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। সারা দেশে এখন আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নামানো হয়েছে আমি আর ডামির ভোটরঙ্গে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসির কাছে নির্বাচন গৌণ। তারা চাচ্ছেন মেরে কেটে হুমকি-ধমকি দিয়ে যে যেভাবে পারে ভোটকেন্দ্রে নাবালক-সাবালক-ভোটার-অভোটার জোগাড় করে লোকারণ্য দেখাও। এটাই গণভবনের নির্দেশ, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উৎসবমুখর নির্বাচনি মডেল। কিন্তু ভোট নাটক যতই করেন কোনো লাভ নেই। সকলই গরল ভেল।’

শেয়ার করুন