২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:১১:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


বিরোধী দল কে হবে আ’লীগের কাছে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রশ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
বিরোধী দল কে হবে আ’লীগের কাছে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রশ্ন ইইউ প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের


ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল কে হবে তা জানতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত ২৬ ডিসেম্বর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। দুই সদস্যবিশিষ্ট ইইউ দলে নেতৃত্ব দেন ডেভিড ওয়ার্ন। আর আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদলের মনোভাব কেমন ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শুনেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই নির্বাচনটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বিষয়টি এসেছে। এখানে ২৭টির মতো দল অংশগ্রহণ করেছে, ১৮৯৬ জন প্রতিযোগিতা করছে। এসব বিষয় তারা পজিটিভলি নিয়েছে। তারা একটা বিষয় জানতে চেয়েছে, বিরোধী দল কে হবে? তারা আসলে বলার চেয়ে আমাদের কথা বেশি শুনতে আগ্রহী ছিল। মন্তব্যের ব্যাপারটা তারা ওইভাবে করতে চাননি। আমরা আমাদের বক্তব্য বলেছি।

নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি, বিএনপি এলো না কেন? এটা বহু আগের জানা কথা, খুব বেশি আলোচনা নয়, তারাও জানেন। বিরোধীদল কে হবে সে প্রসঙ্গে আপনারা কী বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের ফলাফল বলে দেবে বিরোধী দল কে হবে। তিনি বলেন, আমরা একটা কথা বলেছি যে, নির্বাচনের টার্ন আউট সন্তোষজনক হবে। এ নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ আছে। সারা বাংলাদেশের ভোটারদের মধ্যে যে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে টার্ন আউট নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। 

পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন করা একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। ইইউ দল বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চেয়েছে। কথা হয়েছে বিএনপি’র নির্বাচন পন্ডের সহিংসতা নিয়ে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে সহিংসতা করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভয়ভীতি আছে, তারপরও বলছি ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে। তারা ভায়োলেন্সের বিষয়ে কথা বলেছে, বিএনপি ভায়োলেন্স করছে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে তারা ভায়োলেন্স করতে চাচ্ছে। তারা হাস্যকর কিছু বিষয় নিয়ে এসেছে, বাংলাদেশে একটা বিপ্লব হবে, যেটাকে রাইট করে নেতা আসবেন। এ রকম দুঃস্বপ্ন দেখছে বিএনপি। রিমোট কন্ট্রোল লিডার বাস্তবতা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। মোকাবিলা করো এসে। সৎ সাহস থাকলে রাজপথে আসেন। বিদেশে বসে কেন? এটা হলো আমাদের বক্তব্য। 

বাংলাদেশের নির্বাচনের চেয়ে ইউক্রেন, গাজা, ইসরাইল, ফিলিস্তিনি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাথাব্যাথা দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এখন মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে, মাথা ব্যাথাটা গাজা, ইসরাইল, ফিলিস্তিনি, এসব প্রসঙ্গ বিশ্ব রাজনীতিতে প্রকট। তারা বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন ওসব নিয়ে। স্বতন্ত্ররা শুধুমাত্র দলেরই নাকি অন্য দলের রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল, এটা কি সবাই মেনে নেবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতটা প্রস্তুত, নির্বাচন বিরোধীদের অবস্থা কী, তারা মেজর কোনো প্রবলেম করতে পারবেন কিনা, সেসব নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। স্বতন্ত্র শুধু কি আওয়ামী লীগের লোকেরা, সেটা জানতে চেয়েছে, আমরা বলেছি সেটা ঠিক না। বাইরের লোকও স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে। অনেকে বিএনপি থেকে এসেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে। বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ তবে সব স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের না। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করায় সদস্যপদ বহিষ্কার ও স্থগিতাদেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ক্যাম্পেইন চালাতে পারে। এখানে দোষের কিছু নেই। সে সুযোগ তাদের দেয়া হয়েছে। কাউকে বহিষ্কার বা সদস্যপদ স্থগিত করার অধিকার জেলা- উপজেলা কমিটির নেই। তারা শুধু কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাতে পারে।

শেয়ার করুন