২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৩:২৩:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তারা
শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০১-২০২৪
শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি বক্তব্য রাখছেন জসীম ভূইয়া


শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। শেখ মুজিব কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন অখণ্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। গত ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের মাম’স পার্টি হলে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান এবং পরিচালনা করেন যৌথভাবে স্টেট বিএনপির সদস্যসচিব সাঈদুর রহমান সাঈদ এবং যুগ্ম-সদস্যসচিব রিয়াজ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ। গেস্ট অব অনার ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ডা. আব্দুস সবুর, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহিলা সম্পাদিকা সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, স্টেট বিএনপির যুগ্ম-সদস্যসচিব দেওয়ান কাওছার, নাসিম আহমেদ, আশরাফ হোসেন, মাহাবুর রহমান মুকুল, এবাদুর রহমান, খলকু রহমান, মোতাহার হোসেন, তাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়াউর রহমান মিলন, আরিফুর রহমান, মোহাম্মদ কবীর হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মোস্তাফ আহমেদ, শ্রমিক দল নেতা আবুল কালাম, আশরাফ আলী, রিপন মিয়া, মোহাম্মদ সেলিম, রুহুল আমিন, শাহাদাত হোসেন রাজু, বাদল মির্জা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, গোলাম হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াস আহমেদ বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি চেয়েছিলেন অখণ্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। আর সেই সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা পাকিস্তানি গিয়ে ফূর্তি করেছিলেন। অন্যদিকে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনো ক্যু করে ক্ষমতা দখল করেননি। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ব্যারাকে ফিরে গিয়েছিলেন, আবার ৭ নভেম্বর শিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ জিয়াউর রহমানের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। জাতিকে বাকশাল থেকে মুক্ত করেছিলেন। আজকের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়েছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময়ই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কারণ তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এবার ডামি, আমি এবং স্বামীর নির্বাচন করে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন। তিনি বলেন, নব্য বাকশালী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে যতদিন না তার পতন হয়। সেই সঙ্গে তিনি ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহবান জানান।

জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, শাহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন, সংবাদপত্র এবং মানুষের বাকস্বাধীনতা দিয়েছেন। শেখ মুজিব যেভাবে সকল দল নিষিদ্ধ করেছিলেন আজকে তার কন্যা বাংলাদেশে নব্য বাকশাল কায়েম করছে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে এবং চলবে। এই আন্দোলনে আমাদের হতাশ হলে চলবে না, কারণ বাংলাদেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তারা গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রমাণ করেছে বিএনপির ডাকে ভোট বর্জন করে। তিনি বলেন, তাতে প্রমাণিত হয় ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপি জয়ী হয়েছে।

মোস্তাফা কামাল পাশা বাবুল শেখ হাসিনার পতনে আন্দোলনের পাশাপাশি লবিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

জসীম ভূইয়া বলেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, যে কারণে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশে বাকশাল করে থাকতে পারেননি, তার কন্যা শেখ হাসিনাও পারবেন না।

মাওলানা অতিউল্যাহ আতিকুর রহমান শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকোসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।

শেয়ার করুন