২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:৪৩:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


অকার্যকর সংসদ নিয়ে সরকার চলছে- মান্না
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০২-২০২৪
অকার্যকর সংসদ নিয়ে সরকার চলছে- মান্না


‘অকার্যকর সংসদ নিয়ে সরকার চলছে’ বলে মন্তব্য করেছে মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ এই সরকারের ওপর গজব পড়েছে.. এই যে ৭ তারিখে (৭ জানুয়ারি) এটা কি ভোট? হায়রে। সেদিন ঢাকা মহানগরের কোথাও ভোটার ছিলো না, সারা দেশে খোঁজ নেন কোথাও ভোটার ছিলো না… এতো বড় ফোরটোয়েন্টি ভোট করে কি টিকে থাকা যাবে? এখন আম গাছ যা, জাম গাছ যা, ডাব গাছও তাই… নৌকা যা, ট্রাকও তা, ঈগল মার্কাও তাই….। সংসদে থাকবে সরকারি দল, বিরোধী দল… এখানে(দ্বাদশ সংসদ) বিরোধী দল নেই। বিরোধী দল একজনকে বানিয়েছে সেই দলের নেতা উনি গতকালকে বলেছেন, এই সংসদ কোনো কাজ করতে পাবে… আমার তা মনে হয় না। এটাই হলো সত্যি। এই সংসদের কফিনে প্যারেগ মেরে দিয়েছে শেখ হাসিনা। জনগনের গণতন্ত্রের সমস্ত কিছু নতসাৎ করে দিয়েছে।”

মান্না বলেন, ‘‘ আমাকে কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করে ভাই ভোটটা তো হয়ে গেলো… আমি বলি কোনো ভোট হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজনকে বলেন তো ওরা সবাই কেন্দ্রের সামনে বসে ছিলো দুই-তিন গিয়ে দেখা করতে গেছে… ভাই আর লোকজন নাই। ওরা আসে না তো… বলে কত ডাকি শালা আসে না তো.. কেউ দেখতে পারে না, আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে না।”

‘‘ একটা লোক পাবেন না এই রাস্তা দিয়ে হেটে জিজ্ঞেস করে ভাই আওয়ামী লীগ কি ভালো দল? কোনো লোক বলবে না। তার মানে এই ভোট করবার পরে আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতাদের, তাদের মন্ত্রীদের, তাদের প্রধানমন্ত্রীর সন্মান বলে কিছু নেই। সারা দেশের লোক বলেন, খুলনার লোক বলে…এককথায় আমি বলি এরা সব ফোরটোয়েন্টি… ঠক, প্রতারক, মিথ্যা কথা বলেছে।”

তিনি বলেন, ‘‘ আপনারা খেয়াল করে দেখবেন আওয়ামী লীগের লোকজন এখন ওইরকম গরম গরম ভাব দেখাচ্ছে না. আনন্দ ভাব দেখাচ্ছে না… ভোট করে ফেলেছি….পাঁচ বছর আছি শান্তিতে। আমি বলি, তোমরা যে শান্তিতে নাই তার প্রমাণ আমরা ৭ তারিখের আগে থেকে লাগাতার রাস্তায় আছি…রাস্তা ছেড়ে যাব না। ৩০ তারিখ বিএনপি মিছিল করতে চেয়েছে… তাদেরকে মিছিল করতে দেয়নি… কেনো বলেন তো?”

‘‘একটা মিছিল করলে ওদের(সরকার) কি হয়? তারা মনে করে এখনো যদি মানুষ মিছিল করে, দলগুলো মিছিল করে এক‘শ লোক মিছিল করবে, এক হাজার লোক যোগ দেবে …শেষ পর্যন্ত সারা ঢাকা শহরের মানুষ মিছিল করতে থাকবে এবং তাদের গদিতে টান লাগবে।দিন আসবে বলছি। ওদের মুখ শুকিয়ে গেছে,ওদের জিহ্ববা শুকিয়ে গেছে … সামনে আওয়ামী লীগ খারাপ… আরও খারাপ আসবে… অপেক্ষা করেন খুব বেশি দিন লাগবে না। কারণ তিন মাস পরে পেঁয়াজ কেনার যদি টাকা না থাকে, চাল কেনার যদি টাকা না থাকে, গরীব মানুষের, চাকুরিজীবীদের বেতনের টাকা না থাকে তাহলে ওই সরকারটা চলবে কেমনে?”

সরকার পরিবর্তন ছাড়া বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনও থামবে না বলে উল্লেখ করেন মান্না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম,তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের শাহ আবদুল্লাহ হেল কাফি, মতস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যুব জাগপার মীর আমির হোসেন আমু প্র্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন