০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ১০:৩২:৬ পূর্বাহ্ন


ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে কংগ্রেসওম্যান ইহলান ওমর
মুসলমানদের পক্ষে কথা বলি বলেই আমার বিরুদ্ধে মিলিয়ন ডলার খরচ করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০২-২০২৪
মুসলমানদের পক্ষে কথা বলি বলেই আমার বিরুদ্ধে মিলিয়ন ডলার খরচ করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বক্তব্য রাখছেন কংগ্রেসওম্যান ইহলান ওমর


মুসলমানদের পক্ষে সত্য কথা বলি বলেই আমার বিরুদ্ধে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিশেষ করে রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যামাইকার আল মামুর স্কুলে এক ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে মিনিসোটার কংগ্রেসওম্যান ইহলান ওমর এসব কথা বলেন। আব্দুল আজিজ ভূইয়া এবং আফতাব মান্নানের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হোস্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান এবং পরিচালনা করেন আব্দুল আজিজ ভুইয়া ও আল মামুর স্কুলের ছাত্রী জানাইল কাশারি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কো হোস্ট ডা. নাজমুল এইচ খান, কো চেয়ারম্যান হাবিব উদ্দিন আহমেদ, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সভাপতি মাহমুদুর রহমান, সেন্টার নক ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি ডা. জাকির সাব্বির, নাসাও কাউন্টির ফাইভ টাউন মসজিদের প্রেসিডেন্ট তানভীর আহমেদ, ইকনার প্রেসিডেন্ট তারিকুর রহমান, অ্যাসেম্বলিম্যান জোহরান মামদানী, নিউইয়র্ক মুসলিম ট্রাসফোর্সের প্রেসিডেন্ট ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের আফতাব মান্নান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমিগ্র্যান্ড এল্ডার হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মুসলমানদের পক্ষে সত্য কথা বলি বলেই আমার বিরুদ্ধে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিশেষ করে রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, আমেরিকায় মুসলিম কমিউনিটি প্রসারিত হচ্ছে। প্রতিটি স্টেটে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম কমিউনিটিকে টিকে থাকতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। মূলধারার রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। মূলধারায় সম্পৃক্ত হতে না পারলে কোনোভাবেই মুসলমানদের ন্যায্য অধিকার আদায় করা যাবে না। তিনি বলেন, হামাস যখন ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল সেই হামলার নিন্দা জানিয়েছিলাম আমরা, কিন্তু মাসের পর মাস যখন ইসরায়েল নিরপরাধ ফিলিস্তির ওপর হামলা চালাচ্ছে, তখন আমরা মাত্র পাঁচ জন নিন্দা জানিয়েছি। অন্যরা সব নিন্দা জানানো থেকে বিরত থাকে। উল্টো ইসরায়েলকে অর্থ দেওয়ার জন্য তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, এই দেশে জন্ম নেয়া এবং বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে মূলধারার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে হবে।

গিয়াস আহমেদের বক্তব্য ছিল এখানে আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি নামের সংগঠন রয়েছে। তারা সবাই একই সংগঠনের পতাকাতলে ঐক্যবব্ধ। এই সংগঠনের মাধ্যমে তারা তাদের ইসরায়েলি বা ইসরায়েলপন্থী নেতাদের সমর্থন করে, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অর্থ দেয়। কিন্তু দুভার্গ্যজনক হলেও সত্যি যে, আমেরিকার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ কোনো সংগঠন নেই। যে কারণে আমরা আমাদের প্রতিনিধিদের সাহায্য করতে পারি না। ব্যক্তিগতভাবে আমরা কেউই আমাদের প্রতিনিধিকে ৬ হাজার ২০০ ডলারের বেশি দিতে পারি না। তিনি বলেন, আমাদেরও আমেরিকান মুসলিম পাবলিক অ্যাফেয়ার্স নামের একটি সংগঠন প্রয়োজন। যে সংগঠনের মাধ্যমে আমরা ইহলান ওমরের মতো মুসলিম প্রতিনিধিদের সাহায্য করতে পাারি। তিনি ইহলান ওমরকে সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। গিয়াস আহমেদের এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান কংগ্রেসওম্যান ইহলান ওমর।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কো হোস্ট আমীর খান, ডা. আতাউল ওসমানী, ডা. এম পাটোয়ারি, সায়েদ রহমান, মাহবুবুর রহমান, সায়েদ মুজাফ্ফর, আক্তার শাহীন, মোহাম্মদ হাশেম, মোহাম্মদ কোস, মোহাম্মদ বেলাল ভুইয়া, খাজা মিজানুল হাসান, ডা. সিদ্দিকুর রহমান, ডা. আসাদুর রহমান, ডা. জান্নুন চৌধুরী, জোহেব চৌধুরী, মনজুর চৌধুরী, মোহাম্মদ সোয়েব বখত, আজহার হক, ডা. ইমরান হোসাইন, ডা. আব্দুস সবুর, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ডা. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এই ফান্ড রেইজিং থেকে প্রায় ৭৫ হাজার ডলার সংগৃহীত হয়েছে।

শেয়ার করুন