২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ৬:৩৩:২৬ অপরাহ্ন


দেশকে অপু বিশ্বাস
শাকিব খান-অপুর প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা আগের মতোই আছে
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৭-২০২৩
শাকিব খান-অপুর প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা আগের মতোই আছে অপু বিশ্বাস


শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের মধ্যে নতুন করে সম্পর্ক হওয়া নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গণে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে এবারের ঈদে অপু বিশ্বাস প্রযোজিত অনুদানের সিনেমা সোশ্যালে ‘লাল শাড়ি’র প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে শাকিব যখন সিনেমাটি দেখার জন্য দর্শকদের আহ্বান জানান তখন থেকেই। এ বিষয়ে অপু কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছন আলমগীর কবির 

প্রশ্ন:‘লালশাড়ি’ সিনেমার জন্য দর্শকের কাছ থেকে কতটা সাড়া পাচ্ছেন?

অপু বিশ্বাস: সবার ভালোবাসায় বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। ইতোমধ্যে একাধিক প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছি। দর্শকদের লালশাড়ির প্রতি আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে লালশাড়ি পরে মেয়েরা লালশাড়ি সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। এটা খুব খুশির খবর। মন ছুঁয়ে গেছে।

প্রশ্ন: এই সিনেমার মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটল। হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন? 

অপু বিশ্বাস: গত ঈদেই চলচ্চিত্রটি আসার কথা ছিল। দর্শকরা কীভাবে গ্রহণ করবে তা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত ভালো প্রতিক্রিয়াই পেয়েছি। আর নায়িকা হিসেবে দর্শকরা আমাকে সবসময় ভালোবেসেছে। এমনো হয়েছে ঈদে আমার চার-পাঁচটা চলচ্চিত্র রিলিজ পেয়েছে। সুতরাং এই জায়গা থেকে দর্শকদের প্রতি পূর্ণ আস্থা ছিল। 

প্রশ্ন: লালশাড়ি আপনার কাছে কি শুধুই সিনেমা?

অপু বিশ্বাস: না। লালশাড়ি একটি স্বপ্ন। আমার প্রথম প্রযোজিত সিনেমা। এটি সরকারি অনুদানের সিনেমা। অনেক যতœ নিয়ে পরিচালক কাজটি করেছেন। আমিও সবার ভালোবাসা নিয়ে সিনেমাটি শেষ করে ঈদে মুক্তি দিয়েছি। কাজেই এটি অনেক স্বপ্নের ফসল। আশা করছি আগামীতে আরও নতুন কাজে দেখা যাবে আমাকে, যদি সবার ভালোবাসা পাই।

প্রশ্ন: এই সিনেমা করতে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়েছিলেন, তা কি সত্যি?

অপু বিশ্বাস: সত্যি। দেখুন, একটি সিনেমা বানাতে অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে। সরকারি অনুদান বড় সাপোর্ট। খুব ইতিবাচক এই অনুদান। কিন্তু সিনেমা শেষ করতে অনেক টাকা লাগে। লালশাড়ির শেষ সময়ে আমিও সংকটে পড়েছিলাম। তখন শাকিব খান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার সাপোর্ট অনেক কাজে দিয়েছে। ওই টাকা দিয়ে লালশাড়ির কাজ শেষ করেছি।

প্রশ্ন: ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন শাকিব খানকে নিয়ে, সেখানে বলেছেন বাবা-মার পর শাকিব খান আপনার ক্যারিয়ারে বেশি অবদান রেখেছেন?

অপু বিশ্বাস: এটা সত্যি। আমি সত্যি কথা লিখেছি। সেজন্য তা নিজের ফেসবুকে লিখেছি। আবারও বলছি, বাবা-মায়ের পর শাকিব খান আমার ক্যারিয়ারে বেশি অবদান রেখেছেন। তার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সিনেমায় জুটি হয়েছি। অনেক সিনেমা করেছি একসঙ্গে। অনেক সুপারহিট সিনেমা আছে আমাদের। এখনো দর্শকরা সেসব সিনেমার কথা বলে, প্রশংসা করে।

প্রশ্ন: ক্যারিয়ার নিয়ে স্বপ্ন?

অপু বিশ্বাস: আমি সিনেমা শিল্পের মানুষ। সিনেমা দিয়েই দেশে মানুষ আমাকে চেনে ও জানে, ভালোবাসে। আমিও সবার ভালোবাসাকে সম্মান করি। আমার যত স্বপ্ন সিনেমাকে ঘিরে।

প্রশ্ন: শাকিব-অপু জুটি কি দর্শকরা মিস করে?

অপু বিশ্বাস: দর্শকরা মিস করে এটা বলা যায়। কারণ এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। সেখানে সবাই মতামত প্রকাশ করতে পারে। সেখান থেকেই বোঝা যায় শাকিব-অপুর প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা সমপরিমাণই আছে। দর্শকরা যদি চায়, প্রযোজকরা যদি চান শাকিব-অপু জুটি হিসেবে কাজ করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।

প্রশ্ন: মা ও নায়িকা অপু বিশ্বাস এই দুই সত্তার মধ্যে পার্থক্য কী মনে হয়?

অপু বিশ্বাস: নায়িকা অপু বিশ্বাসের পিছুটান ছিল না। নিজের মতো করে কাজ করে গেছে। আর শাকিব খান সঙ্গে ছিলেন। সুতরাং ফ্যামিলি সঙ্গেই ছিল। তাই ঘরে ফেরার পিছুটানটা ছিল না যে, টাইম মেনন্টেইন করতে হবে। আর মা অপু বিশ্বাসের প্রতিটি মুহূর্তই অনেক বেশি ইম্পোর্টেন্ট। আমার মা গত হয়েছেন আড়াই বছর হয়েছে। তাই এখন আমি সবসময় চেষ্টা করি আবরাহামকে সময় দেওয়ার। পাশাপাশি কাজের সময়টাও ঠিক রাখাতে হয় আমাকে। আর কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে মা অপু বিশ্বাসের টানটা চলে আসে। আমার বাচ্চা আমাকে বিরক্ত করে না কখনো।

প্রশ্ন: শাকিব-অপুর সংসার কি আবার এক হচ্ছে?

অপু বিশ্বাস: এটা তো এক পক্ষ থেকে চাইলে হবে না। তবে আমি সব সময় শাকিবের সাফল্য কামনা করি। সেটা সেখানেই থাকি না কেন। 

শেয়ার করুন