০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০২:১৩:৩৪ অপরাহ্ন


মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিনে মুক্তি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০২-২০২৪
মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিনে মুক্তি


নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার যে কার্যক্রম, তাতে এবার মুক্ত হয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সাড়ে তিন মাস কারাভোগ শেষে জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন এই দুই নেতা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে তাঁরা বের হন। কারাগার থেকে বের হলে কারা ফটকে বিএনপির এই দুই নেতাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী। এ সময় পুরো এলাকা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।  এর আগে বিএনপির এ দুই নেতার জামিনে কোনো বাধা নেই এমন কাগজপত্র কারাগারে পৌছালে তাদের বিকেলেই মুক্তি দেয়া হয়।


এর আগে গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় আইনশৃংলাবাহিনী।  


একই দিন দলের প্রচার বিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীও কারামুক্ত হন। গত ১১ অক্টোবর রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এ্যানীকে। এরপর থেকে কাশিমপুর কারাগারে বন্দী ছিলেন বিএনপির এই নেতা। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গতকাল বুধবার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় এর আগে দুজনেরই জামিনের আবেদন কয়েক দফা নামঞ্জুর হয়। হাইকোর্টও মির্জা ফখরুলকে জামিন দেননি।   
 ৬ ফেব্রæয়ারি দুজনের পক্ষে জামিনের আবেদন করার পর আজ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।   
  মির্জা ফখরুলকে গত বছর ২৯ অক্টোবর সকালে আটক করার পর বিকেলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন তাঁর জামিন নামঞ্জুর হয়। পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করেন।   
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেলা ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান।   
৩ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করা হয় এবং একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ১০ নভেম্বর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।   
 
এই মামলায় মির্জা আব্বাস, মির্জা ফখরুল, বরকত উল্লা বুলুসহ ৭২ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামিও রয়েছেন। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পল্টন, শাহজাহানপুর ও রমনা থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।

শেয়ার করুন