২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৭:৫২:৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


হেফাজতে আটক ব্যক্তির মৃত্যু অমানবিক ঘটনা
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৬-২০২৩
হেফাজতে আটক ব্যক্তির মৃত্যু অমানবিক ঘটনা


মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ডিবি পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেন মৃতের লাশের সুষ্ঠু ময়নাতদন্ত করে তা প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে আনা নির্যাতনের অভিযোগ ও হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি একটি অপরাধ বলে তারা মনে করেন। এমএসএফ দ্রুতততার সাথে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানায়। এমএসএফ’র মনে করে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃপক্ষ প্রায় দশ দিন আটক রাখার পর ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা আটক ব্যক্তির মৃত্যু একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ অমানবিক ঘটনা এবং তা অবশ্যই অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 

৬ জুন তুরাগ থানা এলাকায় ফাতেমা আক্তার নামে এক নারী হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে বাড়ির কেয়ারটেকার আলাল দেওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রায় দশদিন হেফাজতে রাখে ও পরবর্তী সময়ে তাঁকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই ধরনের ঘটনার উল্লেখ মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে এসব কথা বলা হয়। 

এমএসএফ সংবাদসূত্রে জানায় যে বাউনিয়ার একটি বাসায় ৫ জুন ফাতেমা আক্তার (৩৩) নামের এক নারী খুন হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একমাত্র আসামি নারীটির স্বামী সাইফুল ইসলাম রানা। স্বজনদের অভিযোগ ৬ জুন সন্ধ্যায় এস আই নাসিরসহ ডিবি পুলিশের সদস্যরা একটি হাইয়েস গাড়িতে করে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বাড়ির কেয়ারটেকার আলাল দেওয়ান (৫০)কে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তার বিষয়ে অন্য কিছু না জানালেও ১৫ জুন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে তাদের জানানো হয়, আলাল অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরে হাসপাতালে খোঁজ নিতে এলে তাদের বলা হয় রোববার কোর্টে গেলেই আলালকে পাবেন। পরদিন ১৬ জুন শেরেবাংলা নগর থানার এস আই আনোয়ার আলালের পরিবারকে ফোনের মাধ্যমে জানান, আলাল হৃদদরোগ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁরা হাসপাতালে লাশ দেখতে গিয়ে দেখেন আলালের হাত-পা ভাঙা। স্বজনদের প্রশ্ন সুস্থ মানুষ আলালকে নিয়ে গেল পুলিশ তাঁর হাত-পা ভাঙল কীভাবে? কীভাবেই বা সে মারা গেলেন? পুলিশই তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে তাঁরা দাবি করেন। 

এ ঘটনায় হাসপাতালে লাশের বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে দেখা গেছে এবং সেখানে কাউকে যেতে দেয়া হয়নি। শেরেবাংলা নগর থানা এবং তুরাগ থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সেখানে থাকলেও কোনো কথা বলেননি। অপরদিকে ডিএমপি ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী আলালকে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তুরাগ থানা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বাড়ির কেয়ারটেকার আলাল জড়িত। তিনি আরো বলেন, হত্যা করার সময় নারীটির সঙ্গে ধস্থাধস্তিতে আলাল পায়ে আঘাত পান। 

এদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)ও এর গভীর উদ্বেগ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।  তাদের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় রাজধানীর তুরাগ থানার একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলাল উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্বজনের অভিযোগ, তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানায়।

শেয়ার করুন