২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:২৫:২৫ অপরাহ্ন


বিএনপির এ্যাকশনে হতভম্ব সরকার
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৯-২০২২
বিএনপির এ্যাকশনে হতভম্ব সরকার


সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিএনপির এ্যাকশনে হতভম্ব হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। অন্যদিকে এসব ঘটনায় হতাহতের ঘটনাতে দেশে বিদেশে পড়েছে বিব্রতকর অবস্থার মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে। এছাড়াও অনেক ঘটনায় আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিতদের পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদের বাড়াবাড়িতে ইমেজ সঙ্কটে পড়ে সরকার। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

হঠাৎ বিএনপি’র আন্দোলনে তেজ

দেশে একটি জাতীয় সংসদ নির্বোচনের অনেক মাস বাকি। দেশের মাঠে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বলে পরিচিত  বিএনপি’ও এমন সময়ে এতো আগে বড়ো ধরনের কর্মসূচি দেবে সরকারের মধ্যে কোনো চিন্তাই ছিল না। বরং তারা বিএনপির একের পর এক কর্মসূচি ও আন্দোলনে ডাক দেয়া নিয়ে নানান ধরনের মসকরা করেছে। সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা মসকরা ঠাট্টা করে যেমন বক্তব্য দিয়েছে তেমনি তারা হিসাব কষে বের করেছে বিএনপি কতবার আন্দোলন আর বড়ো কর্মসূচি দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে হাকডাক মেরেছে। অতীতে ঈদের পর আন্দোলন নিয়ে বিএনপির বারবার হুমকি রাজনীতিতে রীতিমতো রসিকতার সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি কঠোর কোনো আন্দোলনের কর্মসূচিও দিতে পারেনি। বিএনপি’র বিভিন্ন ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচিতে তেমন কোনো প্রভাবও দেশের রাজনীতিতে ছিলো না। এ কারণে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিএনপি’র এমন আন্দোলনকে একেবারেই পাত্তা দেয়া থেকেই বিরত থেকেছে।  মোটামুটি শান্তিতেই কেটেছে আওয়ামী লীগের এতো দিনের শাসনামল। তারা আন্দোলনকে মোকাবিলার প্রয়োজনও নেই মনে করে ধরে নিয়েছে যে আওয়ামী লীগের পকেটে ঢুকে গেছে বিএনপি’র অনেক শীর্ষ নেতা। কারণ অতীতে দেখা গেছে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায় না। এমনকি অনেকে কমসূচির দিন ঘর থেকেই বের হন না বলে অভিযোগ উঠেছিল। যে বিএনপি’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল সে দলটি এখন প্রতিদিনই রাজপথে কোনো না কোনোভাবে আন্দোলনে শরিক হচ্ছে। এমন কি অনেক কর্মসূচি বা সমাবেশ ঘোষণার পর শুরু আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যাচ্ছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের সাংগঠনিক দক্ষতাকে জানান দিচ্ছে। 

কিন্তু কেনো? 

রাজনৈতিক অঙ্গন বিশেষ করে সরকারের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কেনো বিএনপি এমন কর্মসূচি দিচ্ছে। হামলা- মামলাগুলির পরও কেনো তারা মাঠ ছাড়ছে না? এমনকি বিএনপি নেতাকর্মীরাও এক পর্যায়ে ধরে নিয়েছিল যে দলটি আগামী বছরের মাঝামাঝি কঠোর কর্মসূচি দেবে। বিএনপি বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলনের পাশাপাশি এধরনের সাদা মাটা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা নিয়ে তৃণমূলে ছিল অসন্তোষ। বিভিন্ন বড়ো ধরনের ইস্যু পেয়েও বিএনপি কেনো মাঠে নামছে না। দলের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দেয় দলের সিনিয়র বা মাঝারি গোছের নেতা কর্মীরা আন্দোলন সংগ্রাম চায় না। তারা সরকারের সাথে নানান ধরনের যোগসাজেশে ব্যস্ত বলে দলের তৃণমূলে ক্ষোভ অসন্তোষ দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে। বিএনপি’র রাজনৈতিক অঙ্গনে মরুময়তা দলের সর্বপর্যায়ে একধরনের হতাশা দেখা দেয়। কিন্তু সে হতাশা কেটে মাত্র কয়েক মাসে সারা দেশে বিএনপি অগ্নি স্ফুলিঙ্গে সরকারের পাশাপাশি খোদ বিএনপিতেও দেখা দিয়েছে নানান ধরনের রাজনৈতিক হিসাব। তবে বিএনপি’র আন্দোলন কর্মসূচি যখন ঠাট্টা মসকরার দিকে যাচ্ছে তখন মাঠে বিএনপি’র এমন তপ্ত অবস্থানকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল অন্যভাবে দেখছে। তারা মনে করে বিএনপি তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোনো বড়ো ধরনের সিগন্যাল পেয়েছে। 

এখন টার্গেট প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফর

৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রধানদের তৃতীয় সম্মেলন ছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের সফর ছিল সেপ্টেম্বরে। ছিল প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনারও ভারত সফর। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অবস্থান করছেন ওয়াশিংটনে। সেখানে চলছে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন। এতে যোগ দিয়েছেন তিনি। আর এমন সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন উত্তপ্ত তা প্রধানমন্ত্রীও ভাল চোখে দেখছেন না, সেই সাথে তাকে সমর্থনকারি বন্ধু রাষ্ট্ররাও ভালোভাবে দেখছেন না। কারণ জাতিসংঘে এমন উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দেশের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন উপস্থিতি দেশের জন্য একধরনের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের জাতিসংঘের অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ সব সভায় বাংলাদেশকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে বেশ তৎপর ছিলেন। বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় বরাবরের মতো এবারও বাংলা ভাষায় ১৯ তম ভাষণ দেন তিনি। বিভিন্ন অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তুত করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের হাই-লেভেল উইক চলাকালে তিনি মোট ৮টি উচ্চপর্যায়ের সভা ও সাইড ইভেন্টে অংশ নেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ১২টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। 

জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনের সভাপতি সাবা করোসির আমন্ত্রণে বিশ্বের নারী নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীদের অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন তিনি। গ্লোাবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে একটি উচ্চপর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করেন। এ সভায় জাতিসংঘ মহাসচিব, জার্মানির চ্যান্সেলর, সেনেগালের রাষ্ট্রপতি, বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রী এবং ইন্দোনেশিয়া ও ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন। এমন সব ইতিবাচক খবরে এসময়ে তার দেশ ও দল উৎফুল্ল থাকার কথা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এসময় প্রশংসা করে রাজপথ সভা সমাবেশে মাঠ চাঙ্গা করে রাখার কথা। কিন্তু ঠিক তখন তারা ব্যস্ত বিএনপি’র বিরুদ্ধে লাঠি বন্দুক নিয়ে মাঠ দখলে রাখার চেষ্টায়। অন্যদিকে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতেই বিএনপি পাচ্ছে বাধা। পড়ছে তাদের দলের নেতাকর্মীদের লাশ। অন্যদিকে তারা হচ্ছে হামলা মামলার শিকার। যা প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ পত্রের হেডলাইন হচ্ছে। যেখানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে সশরীরে যোগ দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খবর প্রাধান্য পাওয়ার কথা সেখানে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক সংহিসতার খবর। জানা গেছে, দেশের বিদেশে সরকারের এমন আচরণের বিরুদ্ধে ফুটিয়ে তুলতেই সেপ্টেম্বরেও আন্দোলন জোড়দার করেছে। এতে তারা মোটামুটি সফল বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। 

আন্দোলনে তেজের অন্য কারণও আছে

জানা গেছে, বিএনপি আগস্ট সেপ্টেম্বর জুড়ে দেশব্যাপী এমন কর্মসূচির পেছনে আরো অনেক কারণও আছে। তা হলো বিএনপি’র হাইতমান্ডের একটি বড়ো অংশ মনে করে প্রধানমন্ত্রী আগস্ট ও সেপ্টেম্বর যতো দেশে গেছেন তার নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই বেশি ছিল। এটা মাথায় রেখেই এসব সফর হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থার সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পাশাপাশি সরকার-রাষ্ট্র-সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন, যা ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। 

বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগ মুখে যতোই বলুক না কেনো তারা বিদেশের সাহায্যে ক্ষমতায় যেতে চায় না তা আসলে ঠিক না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন দেশের অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই দেশের বাইর থেকে পরিচালিত হচ্ছে, এবং অতীতেও হয়ে আসছে। একারণে বিএনপি মনে করে তারা এমন সময়েই যদি নিজেদের সাংগঠনিক তেজ দেখাতে ব্যর্থ হয় তা হলে ভবিষ্যতে বড়ো ধরনের কোনো ফল পেতে অনেক বেগ পেতে হবে। এদিক থেকেও বিএনপি তার কাংখিত ফল ঘরে তুলে নিতে এসব কর্মসূচি নিচ্ছে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। 

সরকার বেকায়দায় বিব্রত হতভম্ব

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেশের বাইরে আছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে গেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ করে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে। জানা গেছে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন সংহিসতাকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই পর্যবেক্ষণ করছেন। নিজ দেশের ভেতরে এমন হতাহতের ঘটনা তার জন্য খুবই বিব্রতকর ঠেকেছে। বিশেষ করে সফরের পরের দিনই মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যুবদল কর্মী শাওন ভূঁইয়া (২২) মারা গেছেন। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের অদূরে মুক্তারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। 

সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে শাওন ভূঁইয়া ও বিএনপির সমর্থক জাহাঙ্গীর মাদবর (৩৮) গুরুতর আহত হন। এর পরেও দেশে বিভিন্ন স্থানে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দলটি কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বাধা পেয়েছে পুলিশের। মুন্সীগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচি চলার সময় গুলিতে যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওন নিহতের প্রতিবাদে গত রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। বরিশালে সমাবেশ শেষে মিছিল করার চেষ্টা হলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একদিকে সারা দেশে বিএনপি’র লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে রয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হযেছে। 

আন্দোলনের সময়ে দায়ের করা প্রায় লাখ লাখ মামলায় দলটির অন্তত ৩৬ লাখ নেতাকর্মী আসামি। তাদের অনেকে ফেরারি জীবন কাটাচ্ছেন।  অনেকে আছেন জামিনে। দলটির শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূলের অধিকাংশ নেতার নামে রয়েছে মামলা। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই কারাগার ফেরত। অধিকাংশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে আদালতে। চলছে বিচার কাজ। মামলায় নিম্ন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। হাজিরা না দেয়ায় জামিন বাতিল হচ্ছে অনেকের। সব মামলাতেই আসামি রয়েছেন শত শত। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও বিএনপি’র জোরালো আন্দোলনকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে সরকারকে। সরকারের ভাবনায় আরেকটি বিষয় তা হলো দেশের বিভিন্ন স্থােেন আন্দোলন ঠেকাতে নিজ দলতো দূরের কথা দূরে থাক আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর হয়েও কুলকিনার করতে পারছে না। এটি নিয়ে সরকার বড়ো বেকায়দায় আছে বলে জানা গেছে। 

শেষ কথা

দেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একটি বড় ও ঐতিহ্যবাহি দল। এদের রাজনৈতিক জীবনে অনেক চড়াই উৎড়াই পার হয়েছে। দলটির সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী এখন দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত আছেন। তবে তার নখদর্পনে সব আছে। জানা গেছে বিএনপি’র আন্দোলন সংগ্রামের এমন পর্যায়কে মোকাবিলা করতে তিনি দেশে এসেই সব ঠিক করবেন। তখন বোঝা যাবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিবে। আপাতত হতভম্ব অবস্থাতেই তাদের সময় কাটবে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন।

শেয়ার করুন