বাংলাদেশ দলের টেষ্ট অধিনায়ক যোগ্যস্থানেই রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিব আল হাসানকে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন টেষ্ট দলের অধিনায়কত্বের। অব্যাহত পারফরমেন্স সেটা দলীয় ও ব্যাক্তিগততেও মুমিনুল যেন আর টানতে পারছিলেন না। অগত্যা তাকে মুক্তি দেয়ার গুঞ্জন ওঠে।
বিসিবি সেটা কায়দা করে তার মুখ থেকেই বের করেছেন। মুমিনুল বলেও দিয়েছেন, তার কাছে ব্যাটিংটাই বড়। ক্যাপ্টেনসীটা আপাতত নয়। তখন থেকে অধিনায়ক কে হবেন সেটা খোজা শুরু। সাকিবই যোগ্য। কিন্তু এ অলরাউন্ডারের একটা অভ্যাস, সবকিছুই তিনি সহজে মাথা পেতে নেননা। এর আগেও তাকে অধিনায়কত্ব দেয়ার কথা ওঠলেই সরে গেছেন। কিন্তু এবার ঠিকই দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। যদিও এটা তার তৃতীয় মেয়াদে দ্বায়িত্ব নেয়া। যে ওয়েস্টইন্ডিজ সফর দিয়ে তার এ যাত্রা শুরু। সেখানেই দুই ম্যাচের টেষ্ট সিরিজের প্রথমটিতে মাশরাফি বিন মোতুর্জা ইনজুরড হয়ে ম্যাচের বাইরে চলে গেলে সাকিব দ্বায়িত্বটা কাধে নেন। সেভাবেই চলে।
বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার টেষ্ট খেলার ব্যাপারে আসলে দ্বিধা-দ্বন্দে। কখনও বলেন, আর টেষ্ট নয়। কখনও আবার ফেরেন। কখনও এই ছুতা ওই ছুতা বলে এড়িয়ে যান। অথচ বাংলাদেশে সাকিব ছাড়া আর কাউকেও সেভাবে বিবেচনা করা হয়না। কারন সাকিব মানেই একের মধ্যে তিন। এবার ক্যাপ্টেনসীর দ্বায়িত্ব নিয়ে একের মধ্যে চার হয়ে গেছে।
কী বলছেন বিসিবি বস। সাকিব এবার একটু মনযোগ দিও? ফাইল ছবি
তবে বিসিবি যোগ্যস্থানেই রেখেছেন দ্বায়িত্ব। এতে করে অন্তত কিছুদিন সাকিবকে টেষ্টে নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কারন টেষ্ট খেলাটা যখন এড়িয়েই যেতে যান এ অলরাউন্ডার। উল্লেখ্য, সাকিব ৬১ টেষ্ট ম্যাচে রান করেছেন ৪১১৩। উইকেট নিয়েছেন ২২৪ টি।
এর আগে মাশরাফির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেষ্টম্যাচে ক্যাপ্টেনসী করেছিলেণ তিনি। দ্বিতীয় দফায় ক্যাপ্টেনসীর দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেণ ২০১৮ সনে মুশফিকুর রহীমের কাছ থেকে। ২০১৯ সনে নিষেধাজ্ঞার কবলে পরার আগ পর্যন্ত ৫ টেষ্টে ক্যাপ্টেনসী করেন। সব মিলিয়ে ১৪ টেষ্টে ১১ হার ও তিন জয় রয়েছে ক্যাপ্টেন সাকিবের। সাকিবের ডেপুটি করা হয়েছে টপ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে।
আগামী ১৬ জুন থেকে মাসব্যাপী সফর ওয়েষ্টইন্ডিজে। যাদে দুই টেষ্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সাকিব তিন ডিপার্টমেন্টেই খেলবেন।