২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১০:৫৫:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বাংলা ক্রীড়া ধারাভাষ্যের গুণগত মান উন্নয়ন জরুরি
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৫-২০২২
বাংলা ক্রীড়া ধারাভাষ্যের গুণগত মান উন্নয়ন জরুরি


দুনিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশেই সবাই বাংলা জানে, বোঝে , অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন খেলায় বাংলাদেশের অবস্থান যেখানেই থাকুক, বাংলাদেশের সকল প্রান্তেই অধিকাংশ খেলা হয় অনেক উৎসাহ আন্তরিকতার সাথে। প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খেলাধুলোর খবর প্রচার করা হয়, গুরুত্বের সঙ্গে। বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভশন কিন্তু বাংলা ধারাভাষ্য প্রচারে উদাসীন। আর তাই মরহুম তাওফিক আজিজ ভাই, শাহজাহান ভাই, হামিদ ভাই ,মিন্টু ভাই , আতউল হক মল্লিক ভাইদের উত্তরসূরি হয়ে আলফাজ ভাই নিখিল দাস ছাড়া সত্যিকার অর্থে খুব কম উঠে আসছে না।

 ইদানিং কিছু প্রাইভেট টিভি চ্যানেল , প্রাইভেট রেডিও মেধাবী নতুন ছেলে মেয়েদের  সুযোগ দিলেও একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র মেধাবীদের সুযোগ দিচ্ছে না রেডিওতে।  সম্প্রতি নতুন ধারাভাষ্যকার নির্বাচনের জন্য অনুষ্ঠিত একটি পরীক্ষা থেকে এমনি আলামত পাওয়া গাছে।

তবুও সান্তনা শামসুল ইসলাম , জামিল সোহো কয়েকজন উঠে আসছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে বাংলাদেশ বেতারে একজন সবজান্তা ধারাভাষ্যকার (যার ধারাভাষ্য শুনলে মনে হবে কোনো ভোগ্য পণ্যের প্রচার কর্মী ) একছত্র অশুভ প্রভাব বিস্তার করে মেধাবীদের পথ রোধ করেছে। দেশের স্বার্থে খেলাধুলোর স্বার্থে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত বিষয়টি নিরপেক্ষ ভাবে তলিয়ে দেখা। ভারতে শুধু মাত্র পশ্চিম বঙ্গে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ। অথচ গুনে মানে বাংলাদেশের বাংলা ধারাভাষ্য মান ভারতের ধরে কাছেও নেই। 

ভালো ধারাভাষ্য দিতে হলে উন্নত ভাষা গানের পাশাপাশি খেলাধুলোর নিয়ম কানুনগুলো বিষয়ে বিস্তারিত গান অত্যাবশ্যক। সেই সঙ্গে কথা বলায় সতঃস্ফূর্তটা , শুদ্ধ উচ্চারণ প্রয়োজন। অথচ রেডিওতে যারা অধিকাংশ সময়ে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন তাদের অনেকেরই ধারাভাষ্যের এই সব অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ে দক্ষতা নাই।  যেই দুই একজনকে বাংলাদেশ বেতার দেবতা মনে করে তাদের ধারাভাষ্য শ্রবণ কটু। অনেক ক্ষত্রে আলফাজউদ্দিন আহমেদ,  নিখিল দাসকে উপেক্ষা করা হয়। 

আমি চ্যানেলআই রেডিও ভূমির একটি উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম শামস সুমনের অনুরোধে। সেখানে একঝাঁক মেধামী তরুণ উঠেই আসছিলো। এরা সবাই ধারাভাষ্য নিয়ে রিসার্চ করে।  ভাষা জ্ঞান প্রয়োগ শৈলী উন্নত মানের। শুনলাম এবার বাংলাদেশ ধারা ভাষ্যকার নির্বাচনে এদের বেশ কয়েকজন অংশ নিয়েছিল। একটি বিশেষ ব্যাক্তির কারসাজিতে ওদের কাউকেই সুযোগ দেয়া হয় নিয়ে। এগুলো সত্যিই দুঃখ জনক।  আইসিসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে বাংলা বা ইংরেজিতে কিছু মানুষ চর দখলের মতো ধারাভাষ্য কাজটি আঁকড়ে রেখেছেন। আর তাই খেলাধুলোর পাশাপাশি ধারাভাষ্যের ম্যান উন্নয়ন স্থবির হয়ে আছে। 


শেয়ার করুন