২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:২৫:৫৫ পূর্বাহ্ন


জানাজা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
শাওনের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২২
শাওনের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না


লোকেলোকারন্য মুক্তারপুরে গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওনের জানাজায়। গতকাল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কার্যালয় সামনে অনুষ্টিত হয় নামাজে জানাজা। মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদলকর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনের জানাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্টিত ওই জানায় অংশ নেন  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, অনেক নেতাকর্মী।

তবে নিরাপত্বার স্বার্থে জানাজার বিভিন্ন প্রান্তে কড়া পুলিশি প্রহরা দিয়ে রাখে। জানাজার আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শাওনের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শাওন হত্যার বিচার হবে।’ জানাজার পর শাওন হত্যার বিচারের দাবিতে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল বের করেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ মশাল মিছিলের নেতৃত্বে দেন। 

এর আগে গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের অদূরে মুক্তারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। বিকেলের দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এ সময় গুলিতে শাওন গুরুতর আহত হন। গুলি তার মাথায় লাগে। সে সময়ই তিনি অজ্ঞান হয়ে পরেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এরপর থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওনের মৃত্যু হয়। 

জানা গেছে, শাওন মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার তোয়াব আলীর ছেলে। পরিবারে দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। মুক্তারপুর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন শাওন। পেশায় তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। বাবাও অটোরিক্সাচালক। সংসারে উপর্জনক্ষম ছিলেন এ দুইজন। সংসারে শাওনের মা ও তার বিবাহিতা স্ত্রীও রয়েছেন। 

শাওনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। শাওনের মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার চার ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে শাওন সবার বড়। ছেলেটা অল্প বয়সে বিয়ে করল, আমাদের সংসারের হাল ধরল। গত বুধবার বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে আমাকে বলেছিল, ঘুরতে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু আমার ছেলে আর ফিরে এল না। ওরা আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলল। আমার আট মাস বয়সী নাতিটাও বাবাকে চেনার আগে হারিয়ে ফেলল।’ স্ত্রী সাদিয়া আকতার এক কন্যসন্তান নিয়ে নির্বাক হয়ে গেছেন। 


শেয়ার করুন