যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগাল ২১ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা পররাষ্ট্রনীতিতে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন। এ স্বীকৃতির বিরুদ্ধে ইসরায়েল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিরা এ স্বীকৃতিকে একটি বিজয় হিসেবে উদযাপন করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কখনোই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। লন্ডন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এ উদ্যোগগুলোকে ‘লোক দেখানো’ বলে সমালোচনা করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি মনোনিবেশ করছে। সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সময় ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই যুদ্ধ ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ভয়াবহ মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে। নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের এ স্বীকৃতিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে এ স্বীকৃতি ইসরায়েলের অস্তিত্বকে ‘বিপন্ন’ করবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ঘটবে না। জর্ডান নদীর পশ্চিমে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
পরে তিনি পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ওই এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে আছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, এটি অবৈধ দখলদারিত্ব বলে বিবেচিত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের শান্তির আশা এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সাতটি উন্নত অর্থনীতির দেশের মধ্যে ব্রিটেন ও কানাডা প্রথম এ পদক্ষেপ গ্রহণ করলো। ইসরায়েলের একনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এখন কূটনীতির মাধ্যমে এই সংকট সমাধানে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারগুলো স্পষ্ট- জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি, যা কেবল হামাস থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।