নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর জ্যামাইকার হিলসাইড অ্যাভিনিউ পরিচ্ছন্ন রাখার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরো এবং সিটি প্রশাসনের অফিসিয়ালদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির কর্মকর্তারা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় এটি রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বুরো প্রেসিডেন্ট অফিস ছাড়াও সিটির এমটিএ, সানিটেশন, হেলথ প্রভৃতি বিভাগের প্রতিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সভায় বরো প্রেসিডেন্ট ডোনবান রিচার্ড উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বিশেষ জরুরি কাজে আটকা পড়ায় তিনি সভায যোগ দিতে না পারলেও তার প্রতিনিধি সভায় যোগ দেন।
সভা শুরুর অগে ফ্রেন্ডস সোসাইটির কর্মকর্তারা সিটি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে হিলসাইড অ্যাভিনিউর ব্যস্ত এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়ে হিলসাইড এলাকার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও নোট ডাউন করেন এবং পরবর্তী সময় সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট, স্থানীয় বোর্ড মেম্বার ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট অফিসের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাদেক, কুইন্স ইস্ট বরোর ডেপুটি চিফ জেমস জোরিচ, ডিএসএনওয়াইয়ের পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রতিনিধি অ্যান্থনিও হোয়াইটার, কমিউনিটি বোর্ড-৮-এর ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার ম্যারি অ্যাডাম-ওভিড প্রমুখ কর্মকর্তা সভায় অংশ নেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে ফরুলর ইসলাম দেলোয়ার হিলসাইড অ্যাভিনিউয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন জ্যামাইকায় বাংলাদেশিসহ অন্যান্য কমিউনিটির মানুষের বসবাস বেড়ে যাওয়ায় হিলসাই অ্যাভিনিউ বিশেষ করে সাটফিন বুলেভার্ড থেকে শুরু করে ১৭৯ হিলসাইড অ্যাভিনিউয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আর লোক সমাগমের কারণে এলাকাটি অপরিচ্ছন্ন, যানজট প্রভৃতি সমস্যা দিনদিন বাড়ছে। যেহেতু এলাকাসীসহ ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিচ্ছেন, সেহেতু সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রশাসনের আরো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি জনসচেতনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এবং এজন্য ফ্রেন্ডস সোসাইটি কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে বলে জানান।
অন্যদিকে সভায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের (জেএমসি) সেক্রেটারি আফতাব মান্নান ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ছাড়াও ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গণি, উপদেষ্টা সালেহ আহমেদ, আমিনুল ইসলাম চুন্নু ও এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ কারুল ইসলাম সনি, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মুন্সী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে মোল্লা সানি, কার্যকরি সদস্য ইফফাত ইয়াসমীন রিমা সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, এএসএম সোলায়মান, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট বেলাল আহমেদ, রাজু লর ফিরোজ কবীর এবং সিটির আগামী নির্বাচনে অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৭৫ থেকে অ্যাসেম্বলি সদস্য পদপ্রর্থী মাহতাব খানসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসলাম, এমডিএম বেগ, এ হান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।