২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ০৯:৫৯:০১ অপরাহ্ন


রুহুল-অপু পরিষদের নির্বাচনী সভা ও প্যানেল পরিচিতি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১০-২০২৫
রুহুল-অপু পরিষদের নির্বাচনী সভা ও প্যানেল পরিচিতি রুহুল-অপু পরিষদ প্যানেল পরিচিতি


আমিসহ আমার প্যানেলকে আপনারা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তাহলে যে কোন মূল্যে বিয়ানীবাজার সমিতির ভবন ব্যক্তি মালিকানা থেকে সমিতির নামে নিয়ে আসা হবে। শুধু তাই নয় বিয়ানীবাজারবাসির স্বপ্ন বিয়ানীবাজার সেন্টার উপহার দেয়া হবে। গত ২০ জুলাই ওজনপার্কের আল মদিনা পার্টি হলে রুহুল- অপু পরিষদের প্যানেল পরিচিতি ও নির্বাচনী সভায় সভাপতি পদপ্রার্থী মুহিবুর রহমান রুহুল একথা বলেন।

প্যানেল পরিচিতি সভায় সভাপতিত্ব করেন রুহুল-অপু প্যানেলের আহ্বায়ক আহমদ মোস্তফা বাবুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্যানেলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ এ আলীম। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক উপদেষ্টা হাজী শামছুল ইসলাম।

সভাপতি প্রার্থী মুহিবুর রহমান রুহুল বলেন, আজ আমি প্রার্থিতা হিসাবে নয় আপনাদের ভাই ও বন্ধু হিসাবে হাজির হয়েছি। আগামী ২৬ অক্টোবর আমার প্যানেলকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে সংগঠনের কাজ করার সুযোগ দানের আহ্বান জানান। রুহুল বলেন, সমিতির ভবন আজ থেকে ৮ বছর পূর্বে মকবুল রহিম চুনই সভাপতি ও আমি সেক্রেটারি থাকাকালীন অবস্থায় বিয়ানীবাজার সমিতির ভবন ঋণমুক্ত হয়। দুঃখের বিষয় বিয়ানীবাজার সমিতির ভবন ব্যক্তি মালিকানা থেকে সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন করতে বার বার কেন লুকোচুরির আশ্রয় নেয়া হয় সেটা বোধগম্য নয়। এখানেই শেষ নয়, মোস্তফা কামাল সভাপতি ও আমি ও সেক্রেটারি থাকাকালীন সময় ভবন ঋণ মুক্ত করার জন্য সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে ভবনের অন্যতম একজন মালিক বুরহান উদ্দীন কপিলকে এক চেকে ১ লাখ আশি হাজার ডলার দেয়া হয় ভবন ঋণ মুক্ত করার জন্য। কিন্তু আজো নানা অজুহাতে বিয়ানীবাজারবাসির অর্থে ক্রয় করা বিয়ানীবাজার ভবন সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে টালবাহানা চলছে। সভাপতি প্রার্থী রুহুল বলেন, বর্তমান সভাপতি আব্দুল মান্নানের প্রথম মেয়াদের সময়ে বিয়ানীবাজার সমিতির ভবন যাদের নামে সে সব ব্যক্তিদ্বয় সভাপতি আব্দুল মান্নানের আমলে উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কেন ভবন সমিতির নামে আনেননি। এবারো.সমিতির ভবন সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন করার আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের বোকা বানিয়ে বৈতরণী পার হতে চাইছেন। ভোটাররা এখন অনেক সচেতন। ফাকা বুলি দিয়ে কাজ হবে না। মুহিবুর রহমান রুহুল দৃঢ়চিত্তে ঘোষণা করেন, সভাপতি নির্বাচিত হলে প্যানেলের সবাই বিয়ানীবাজারের সবাইকে নিয়ে যে কোনভাবেই হোক সমিতির ভবন সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন বরা হবে। সেটা হবে আগামী নির্বাচনের পূর্বে। বিগত সময়ে সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনকালে করোনা মহামারিতে বিয়ানীবাজারে প্রত্যেক ইউনিয়নে.সাহায্যের জন্য ১১ লাখ টাকা প্রেরণ করা হয়। এ ছাড়া.করোনাকালে বিয়ানীবাজার হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য ২৮ লক্ষ ৭৩৫ টাকা দেয়া হয়। মাসুদুল হক ছানুর সাথে সেক্রেটারি থাকাকালীন নিউ জার্সিতে ১১৩ টি কবর ক্রয়ের কথা বলেন। রুহুল তার সমাপনী বক্তব্যে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২৬ অক্টোবর আমাদেরকে ভোট প্রদান করার জন্য সময় দিন। আমরা আপনাদের সারা বছর সময় দিব।

সেক্রেটারী পদপ্রার্থী রেজাউল আলম অপু উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্প্রতি সময়ে তার বিরুদ্ধে মামলা ও পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলন নিয়ে বলেন, আমাদের প্যানেলকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দেখে ভোটারদের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমি এ প্রবণতাকে ঘৃণাভারে প্রত্যাখ্যান করি। অপু মামলা দায়েরকারীদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন ২০২১ সালে ২০২৩ সালে কি ডাবল ভোট ছিল না। ডাবল ভোট নিবন্ধনে গঠনতন্ত্রের কোন ধারায় কি অনিয়ম উল্লেখ রয়েছে?। যদি না হয় তবে কেন আমার বিরুদ্ধে মমলা দায়ের করা হলো। ভোটার নিবন্ধনের কাজ আমি একা সম্পন্ন করিনি। আমার সাথে সভাপতি আব্দুল মান্নান, দপ্তর সম্পাদক ও কার্যকরি কমিটির লোকজন ছিল। আমার প্রতি আক্রোশেরর কারণ কি? ভোটার নিবন্ধনের কাজ সম্মিলিতভাবে হয়।

অপু বলেন, এবারের ভোট নিবন্ধনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরও ডাবল হয়েছে। ডাবল ভোটের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন মামলা হয়নি। ডাবল ভোট, ১টা যেমন অপরাধ তেমনি ১০০ টাও অপরাধ। ডাবল ভোট নিবন্ধনে মামলা করে মামলাকারীরা বিশ্বে সমিতির ভাবমূর্তি ম্লান করেছেন। আমরা মামলার পক্ষে নই। উদাহরণ টেনে বলেন, বিগত নির্বাচনে মান্নান সভাপতি ও মাহবুব সেক্রেটারি থাকাকালীন ভোট নিবন্ধনে নীল নকশার মাধ্যমে ১৯৬ টি ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সমিতির মানসম্মান রক্ষার জন্য আমরা মামলা করিনি। তিনি বিয়ানীবাজারবাসির কাছে তার বিরুদ্ধে মামলার জন্য বিচার প্রার্থনা করেন। আগামী ২৬ তারিখ ভোটের মাধ্যমে জবাব দেয়া হবে। বিয়ানীবাজার ভবন নিয়ে অপু তার বক্তব্যে বলেন, বিয়ানীবাজার ভবন বিয়ানীবাজার সমিতির নামে দিতে হবে। মামলা দিয়ে সমিতির ভবন ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।

প্যানেল পরিচিতি নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, আজিমুর রহমান বুরহান, মকবুল রহিম চুনই, মাসুদুল হক ছানু, মোস্তফা কামাল, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক উপদেষ্টা হাজী শামছুল ইসলাম, গোলাবশাহ সমাজ কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান তোতা, কামরুজ্জামান চৌধুরী এনা, ময়নুল হক (শ্রীধরা), মখলিছুর রহমান (গোবিন্দশ্রী), ফারুক আহমেদ (গোবিন্দশ্রী), ফয়জুল হক (ঘুংগাদিয়া) আব্দুল হোসেন (ঘুংগাদিয়া) আব্দুল হামিদ (মাথিউরা), হেলাল উদ্দিন, করিম উদ্দিন (কসবা)।

প্যানেল পরিচিতি : সভাপতি মুহিবুর রহমান রুহুল, সহ সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল.ফাত্তাহ, সেক্রেটারি রেজাউল আলম অপু, সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ, কোষাধ্যক্ষ রেজাউল হক (রেজা), সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল আলম (শিপলু), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শরীফ আহমদ, দপ্তর সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক খালেদ আহমদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জামিল আহমদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হাফছা ফেরদৌস হেলেন। কার্যকরি সদস্য: নুরুজ্জামান সুহেল, মোহাম্মদ আবদুল আহাদ (জুনেদ), উমর মোহাম্মদ সিদ্দিকি (জুন্না), মোহাম্মদ জাকির হোসেন অপু, মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম মনসাদ, আল মোস্তাজাব।

শেয়ার করুন