চলতি বছরের নভেম্বর মাসেও অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের ঘটনা থেমে থাকেনি। এ মাসেও মোট ৫৮টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। গত মাসে এর সংখ্যা ছিল ৬৬ জন।
এসব তথ্য মিলেছে মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে। চলতি বছরের নভেম্বরে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)’র রিপোর্টে দেখা যায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফ কর্তৃক সংগৃহিত তথ্য অনুযায়ী নভেম্বরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জন নারী ও ৪৫ জন পুরুষ, মোট ৫৮ টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে।
এমএসএফ’র পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট প্রকাশ করে বলা হয় যে, অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের ঘটনা জনজীবনের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি জোরালোভাবে সকলের সামনে প্রতিফলিত হচ্ছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় উদ্ধারে অপারগতায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এতে আরও বলা হয় যে এটা অনাকাঙ্খিত এবং নাগরিক জীবনে নিরাপত্তাহীনতার বড় কারণ। অল্প সংখ্যক ঘটনা ছাড়া সব কয়টি লাশের পরিচয় অজ্ঞাতই থেকে যাচ্ছে। এসব অজ্ঞাতনামা লাশের বেশির ভাগই নদী বা ডোবায় ভাসমান, মহাসড়ক বা সড়কের পাশে, সেতুর নিচে, রেল লাইনের পাশে, ফসলী জমিতে ও পরিত্যক্ত স্থানে পাওয়া যায়। অল্প সংখ্যক মৃতদেহ গলা কাটা, বস্তাবন্দী, হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে, ২০-৩০ বয়সী ৭ জন পুরুষ ও ২ জন নারী, ৩১-৪০ বয়সী ২১ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী, ৪১-৫০ বয়সী ২ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ, ৫০ বয়সের উর্দ্ধে ৭ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন।এর মধ্যে ১ জনের বয়স শনাক্ত করা যায় নি।
এমএসএফ মনে করে, শুধুমাত্র অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং পরিচয় জানার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। পরিচয় উদ্ধার করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা যত ক্ষমতাবানই হোক, এ সব অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।