০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৬:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


স্কুলে স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১২-২০২৫
স্কুলে স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি নিউইয়র্ক সিটিতে স্কুলে ফোন নিষেধাজ্ঞা চালু হওয়ায় ক্লাসরুমে শিশুদের মনোযোগ বাড়ছে


নিউইয়র্ক স্টেটের স্কুলগুলোতে স্মার্টফোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলে যে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তা সাম্প্রতিক সমীক্ষায় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। বেল-টু-বেল স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ উন্নয়ন এবং শিক্ষকতার কার্যকারিতা বাড়ার মতো ফলাফল পাওয়া গেছে। স্টেটজুড়ে ৩৫০টির বেশি স্কুল প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে সংগৃহীত এই প্রতিবেদন স্কুল সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্নর ক্যাথি হোচুলের ডিসট্র‍্যাকশন-ফ্রি স্কুলস আইন বাস্তবায়নের পর এর ইতিবাচক প্রভাব আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। গভর্নরের কার্যালয় পরিচালিত সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্টেটের স্কুলগুলোর বেশিরভাগই বেল-টু-বেল স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। নভেম্বর মাসে প্রকাশিত এই সমীক্ষায় ৩৫০ টিরও বেশি স্কুল প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা হয়।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ৯২ শতাংশ স্কুল জানিয়েছে যে তারা খুব সহজ ও নির্বিঘ্নভাবে ফোন-মুক্ত নীতি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। অনেক প্রশাসক জানিয়েছেন, স্টেটের পরিষ্কার দিকনির্দেশনা এবং স্থানীয় পর্যায়ের পরিকল্পনার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা পাওয়া গেছে। একজন সেন্ট্রাল নিউইয়র্কের প্রিন্সিপাল জানান, ক্লাসে এটি ছিল একেবারে নির্বিঘ্ন পরিবর্তন; শিক্ষার্থীদের কোনো আপত্তিই ছিল না। এছাড়া ৮৩ শতাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞার ফলে শ্রেডুকক্ষে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের একজন সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, এটি সত্যিই বড় পরিবর্তন। শিক্ষার্থীরা এখন মাথা নিচু করে ফোনে নয়, বরং একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে। ক্লাসরুমে সক্রিয় অংশগ্রহণও দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের প্রশাসকরা উল্লেখ করেছেন, মধ্যাহ্নভোজ বা বিরতির সময় এখন শিক্ষার্থীরা আরও সামাজিক হয়ে উঠছে, দলগত খেলায় অংশ নিচ্ছে এবং পরস্পরের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলছে।ক্লাসে এখন ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করছে ।

এদিকে ৭৫ শতাংশ শিক্ষক ও প্রশাসক জানিয়েছেন যে স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞা তাদের শেখানোর দক্ষতা বাড়িয়েছে। ওয়েস্টার্ন নিউইয়র্কের এক প্রশাসক জানান, শিক্ষার্থীরা এখন সাহিত্য পড়ায় আরো গভীর মনোযোগ দিচ্ছে এবং তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্লেষণ করছে। মোহক ভ্যালির এক প্রিন্সিপাল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা এবং মনোযোগের মাত্রা উন্নত হচ্ছে। গভর্নর হোচুল বলেন, আমাদের সন্তানরা যখন শেখায় মনোযোগ দেয়, তখন তারা সফল হয়। এই উদ্যোগে আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি এবং সমীক্ষায় সেই সাফল্যই প্রতিফলিত হয়েছে। নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর নিউইয়র্কজুড়ে স্কুলগুলোতে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তা ভবিষ্যতে আরো উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

শেয়ার করুন