০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:০৩:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


১০ ডিসেম্বর বিএনপি পল্টনে সমাবেশ করতে চায়
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১১-২০২২
১০ ডিসেম্বর বিএনপি পল্টনে সমাবেশ করতে চায়


আলোচিত ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের ঢাকা বিভাগীয় মহা সমাবেশের জন্য পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে অনুমতি চেয়েছে। তবে এ সম্মেলন কোথায় হবে এটা নিয়ে একটা উৎকন্ঠা ছিল। অনেকেই ধারণা ছিল বিএনপি সম্ভবত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চাইবে। কিন্তু সেটা তারা করেনি। এ বিষয়ে ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অনুমতি চায় বিএনপি নেতারা। সাত জনের প্রতিনিধি দল ডিএমপি’র সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম, শহীদউদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু।   

সেখান থেকে বেড়িয়ে এ ব্যাপারে আমান উল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। এখানে আমরা আরো অনেকবার অনেক সম্মেলন করেছি। ফলে এখানেই আমরা চেয়েছি। ডিএমপি বলেছেন তারা সব ভেবেচিন্তে জানাবে। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, সমাবেশটি হবে শান্তিপূর্ণ। এবং আমরা সেখানে যাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারি এ ব্যাপারে নজরদারি তথা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেরও অনুরোধ করেছি। 

আমানউল্লাহ আমান বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপি ইতিমধ্যে ৬টির মত বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেছে। তারপরেও প্রতিটা সমাবেশে মানুষকে যোগ দিতে বেগ পেতে হয়েছে। যানবাহন অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা বলেছি ঢাকাতে সমাবেশে আসতে আমাদের নেতাকর্মীরা যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্থ না হয় সে দিকে নজর রাখবেন। এ বিষয়গুলো যাতে না ঘটে সে দিকে খেয়াল রাখার জন্য। আমরা বলেছি, আপনি বিএনপি বা আওয়ামী লীগের কমিশনার নন। আপনি সরকারি কর্মকর্তা। ফলে সে দিকে নজর বা খেয়াল রাখবেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো। একই সঙ্গে সারাদেশ ব্যাপী হামলা মামলা এগুলোও বন্ধ করতে হবে। 

এদিকে ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার অনুমতি চাওয়ার বিষয়টা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে এটা প্রতিটা দলেরই গণতান্ত্রিক অধিকার। ফলে তারা এস্থানের বিকল্প অন্য কোনো স্থান আছে কিনা সেটাও চাওয়া হয়। কিন্তু তারা সেটা দেয়নি। তবে সব বিষয়গুলো গোয়েন্দা তদন্ত শেষে অনুমতির বিষয়টা দেখা হবে বলে জানানো হয়।  

বিনা অপরাধে আটক করা প্রসঙ্গে 

আমানউল্লাহ আমান বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ যাতে সফল না হয় সে জন্য গ্রেফতার আতংক ছড়ানো হচ্ছে। বিনা অপরাধে বিএনপির নেতা কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। বিষেশ করে বনানী থেকে বেশ ক’জন নেতাকর্মী একটা রেস্টুরেস্টে খেতে গিয়েছিল, তাদেরকে ধরে নেয়া হয়েছে। আমরা সে ব্যাপারে কথা বলেছি। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, তারা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখবেন। অপরাধী না হলে ছেড়ে দেবেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তাদেরকে একটা পুরানো মামলায় আটক দেখানো হয়েছে।

শেয়ার করুন