০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৪:০৩:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


দুদক নিয়ে টিআইবির আহ্বান
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০১-২০২৩
দুদক নিয়ে টিআইবির আহ্বান


দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব কর্তৃক জারিকৃত ডেলিগেশন অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল পাওয়ার (প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ) বিষয়ক কার্যালয় আদেশে অনুসন্ধান ও তদন্তে নিয়োজিত উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পদায়ন ও বদলির ক্ষমতা দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হাত থেকে সরিয়ে সচিবের হাতে ঢালাওভাবে ন্যস্ত করা হয়েছে। এর ফলে দুর্নীতি প্রতিকারে কমিশনের ক্ষমতা পদদলিত হওয়ার ভয়ানক শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই কার্যাদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।  


দুদক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ এর উক্ত কার্যালয় আদেশের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আজ এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী দুদকের নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যান ও তাঁর নেতৃত্বে কমিশনারদের হাতে অর্পিত এই প্রতিষ্ঠানের মূল ম্যান্ডেট-সংক্রান্ত উক্ত নির্বাহী ক্ষমতা ঢালাওভাবে সচিবের হাতে অর্পণের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি কী প্রক্রিয়ায়, কোন যুক্তিতে হলো? কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হবার শঙ্কার বিষয়টি কতোটা বিবেচিত হয়েছে?


সিদ্ধান্তটি কি কমিশন কর্তৃক সজ্ঞানে গৃহীত, নাকি এতোদিন ‘নখদন্তহীন বাঘ’ হিসেবে কথিত এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে বাস্তবে রূপান্তর করার এক অশুভ প্রয়াসের ফসল, এমন প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। এসব প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর প্রাপ্তি জরুরি, বিশেষ করে কমিশন কেন নিজের হাতে থাকা উক্ত ক্ষমতাসহ আরও কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ এখতিয়ার সচিবের তথা আমলাতন্ত্রের  হাতে নিরঙ্কুশভাবে  ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো? সেটিরও স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন।’ 


গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের দৃষ্টান্ত অনুসরণের যে ব্যাখা দুদকের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে তা দুদক যে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় তা অনুধাবনে ব্যর্থতার পরিচায়ক- উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এই অশুভ কার্যালয় আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শুধু উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নই নয়, এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের বলে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের চাকুরী স্থায়ী ও নিয়মিতকরণ, চলতি দায়িত্ব প্রদান, ভাতা ও ছুটি, পেনশন, পিআরএল এবং মামলার সাজার প্রেক্ষিতে পুরস্কার ইত্যাদি সকল ক্ষমতা আমলাতন্ত্রের হাতে অর্পিত হওয়ায়, দুদক এখন পুরোপুরিভাবে প্রাক্তন ব্যুরোতে সম্পূর্ণভাবে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে আর কিছুই বাকি থাকলো না।  


ড. ইফতেখারুজ্জামান হতাশা ব্যক্ত করে আরো বলেন, ‘এই আদেশের ছ- অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে রূপ ঢালাওভাবে দুদক আইনের ১৬ ধারার আওতাভুক্ত সকল এখতিয়ার বাস্তবায়নের “পূর্ণ ক্ষমতা” সচিবের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে, তার বলে উক্ত আইনের ৩(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দুদকের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হওয়ার জনপ্রত্যাশার কফিনের শেষ পেরেক ছাড়া আর কিছুই নয়।’   


টিআইবি উক্ত কার্যালয় আদেশকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূণ্য সহনশীলতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে পদদলিত করার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের হতাশাব্যঞ্জক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করছে এবং অবিলম্বে এর প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে। 


 


শেয়ার করুন