বক্তব্য রাখছেন ড. খন্দকার মারুফ হোসেন
কিছু দিনের মধ্যেই বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান হবে এবং বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হবেন। গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রস্থ ড. মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ড. খন্দকার মারুফ হোসেন খন্দকার এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রস্থ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল আমিন সুমনের সভাপতিত্বে এবং প্রফেসর মনির খান ও ইঞ্জিনিয়ার মাইনুদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি জ্যকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি ড. মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠান হলেও এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। যা সাধারণত দেখা যায় না। দলের বিভক্তির কারণে অনেকেই একই অনুষ্ঠানে যান না। কিন্তু ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে ভেদাভেদ ভুলে সবাই এসেছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রস্থ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির সদস্য সচিব এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া, বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাবেক জেলা দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরকার, দাউদকান্দি বিএনপির আহ্বায়ক এম এ লতিফ ভুইয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং তিতাস বিএনপির সাবেক সভাপতি সালাউদ্দীন সরকার, বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর, মোশাররফ হোসেন সবুজ, ভিপি জহিরুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ সোসাইটির সহসভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. জাহাঙ্গীর আলম, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান সাঈদ, সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস খোকন, শাহরিয়ার চৌধুরী বিদ্যুৎ, এম আর মাহবুবুল হক, দেওয়ান আব্দুস সাত্তার, ভিপি জসীম, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সদস্য সচিব বদিউল আলম, ইয়ার আহমেদ পাটোয়ারি, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস খান, কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব জসীম উদ্দিন ভূইয়া, কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑনুরুল আলম লিটু, সাইদুজ্জামান হৃদয়, নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, সেলিম আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটির সদস্য আকতার বাবুল, আরিফ মাহমুদ, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরের প্রেসিডেন্ট শামসুদ্দীন বশির, কবি রেজাউল করিম, মোস্তফা আহমেদ, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান মিজান, আমানত হোসেন আমান, মোশাররফ হোসেন বশির, সারওয়ার খান বাবু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মারুফ হোসেন আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকালে আপনারাই দেশের ভরসা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল। সেই জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, অর্থ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে, মানুষের ভোটের অধিকার নেই। দিনের ভোট রাতে হয়ে যায়। ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশে ভোট চুরি এবং ভোট ডাকাতি শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে ভোট চুরির রাজত্ব চলছে। তা থেকে সুপ্রিম কোর্টও রক্ষা পায়নি। সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের ভোটও ন্যক্কারজনকভাবে চুরি করা হয়েছে। শেয়ারবাজারকে লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে খাদের কিনারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলোতে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন আগামীতে দেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই নির্বাচনেও ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আপনারা জানেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিমধ্যে ১০ দফা দিয়েছেন। সেই ১০ দফার প্রথম দফা হচ্ছে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। ইতিমধ্যেই ইভএমএ ভোট গ্রহণ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিছু দিনের মধ্যেই অলআউট আন্দোলন শুরু হবে এবং বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান হবে। সেই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবারও প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচন করবো। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামী রাষ্ট্রনায়ক সেই নির্বাচনে নেত্বত্ব দেবেন, আশা করি বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে।
আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা। যে কারণে বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং মহাশক্তিশালী এক নেতা। আশা করি ড. খন্দকার মারুফ হোসেন তার বাবার সেই গুণগুলো পাবেন।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, আমি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তিনি আমাকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির আহ্বায়ক বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের কথা বলতে গেলেই বিএনপির কথা চলে আসে, আর স্বাধীনতাবিরোধী এবং স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়ার কথা বলতে গেলেই আওয়ামী লীগের নাম আসে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের যে গুণ রয়েছে আগামীতে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হবে।
