০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৩০:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


নির্বাচনের কথা শুনলেই সরকারের নানা ধরনের কুযুক্তি : সিপিবি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০১-২০২৫
নির্বাচনের কথা শুনলেই সরকারের নানা ধরনের কুযুক্তি : সিপিবি সিপিবি’র গণতন্ত্র অভিযাত্রা


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত দেশব্যাপী গণতন্ত্র অভিযাত্রার প্রথম দিনে গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার, বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড় থেকে বাহাদুর শাহ্ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা ও গণসংযোগে অংশ নিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন,‘স্পিড মানি’র সাথে ‘রিস্ক মানি’ যুক্ত হয়ে দুর্নীতি ঘুষের পরিমাণ বেড়েছে। চাঁদাবাজি দখলদারিত্ব নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী হয়ে চলছে। নিত্যপণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ‘গরিব থেকে বড়লোক’ সব মানুষের পকেট থেকে একই হারে ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে গরিব মধ্যবিত্তের পকেট খালি হয়ে গেলেও, বড় লোকের পকেট ঠিকই থাকছে। অনেকদিন ধরে দেশে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা যায়নি। কৃষকের ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অথচ ফসলের লাভজনক দাম পাচ্ছে না। কৃষকের হাহাকার চলছে। আর শহরের বাজারে অধিক মূল্যে পণ্য কিনতে হচ্ছে। বড়লোকের উপরে প্রত্যক্ষ কর বাড়ছে না। ঋণখেলাপিদের টাকা আদায় না করে নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। লুটেরা সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে টাকা আদায়, পাচারের টাকা ফেরত আনা আর দুর্নীতিবাজদের জেলে ঢোকানোর খবর নেই।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসনামলের অন্যায় অব্যবস্থাপনা দূর হয়নি বরং অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে চলেছে। এ অবস্থার অবসানে সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের বিকল্প নেই। একমাত্র নীতিনিষ্ঠ বাম রাজনৈতিক শক্তি পারে ব্যবস্থার বদল ঘটিয়ে এই দুরবস্থার অবসান করে সব মানুষের গ্রহণযোগ্য দেশ গড়তে।

তিনি দেশের সাধারণ মানুষকে নীতিহীন রাজনীতিকে ‘না’ বলে নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির পতাকাতলে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।

রুহিন হোসেন প্রিন্স সম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শত শত মানুষের রক্তদানের মধ্য দিয়ে ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টে যে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হলো, আজ ক্ষমতার দাপটে তা প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দাপট বেড়ে চলেছে। মানুষের গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে দ্রুত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার নির্বাচনের কথা শুনলেই নানা ধরনের যুক্তি, কুযুক্তি হাজির করছেন।

তিনি বলেন, আমূল পরিবর্তন ছাড়া মুক্তি নেই। এই আমূল পরিবর্তনের জন্য সংস্কার একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। তাই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের কাল বিলম্ব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

তিনি গরিব-মধ্যবিত্তদের জন্য চালু থাকা টিসিবির ট্রাকসেল ও ৪৩ লক্ষ পরিবার কার্ড বাতিলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, সরকার টাকা নেই বলে এসব প্রকল্প বাতিল করলো। রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করল না। অথচ মাত্র কিছু সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারির জন্য মহার্ঘ ভাতা বেতন বাড়ানো, আর বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করে জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। সাংবাদিকদের অনেকেই চাকরিচ্যুত হচ্ছেন, ভয়ের রাজত্ব যেন পিছু ছাড়ছে না।

তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। সাধারণ মানুষকে এই অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদলের পদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আজ ২১ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার পল্টন মোড়ের সিপিবি কার্যালয় থেকে আয়োজিত পদযাত্রা-গণসংযোগে সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, ক্বাফি রতন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কেন্দ্রীয় সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, কাজী রুহুল আমিন, আবিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, জাহিদ হোসেন খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠকদ ইদ্রিস আলী সহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এসময়ে নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষ ও দেশবাসীকে তার নিজের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর উদ্দেশ্য বলেন, নিজে সচেতন না হলে সাধারণ মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে কোষ খাওয়া নেতাদের অভাব হবে না। নতুন নতুন নেতার জন্ম হবে। তাদের পকেট ভারি হবে। নতুন কর্তৃত্ববাদ স্বৈরাচারের জন্ম হবে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সংঘটিত হতে হবে।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এই পদযাত্রা-গণসংযোগ চলছে। সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে গণতন্ত্র অভিযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দেশের বিভিন্ন স্থানে পদযাত্রা-গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। এ সময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম চট্টগ্রাম অঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স খুলনা অঞ্চল, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ গাইবান্ধসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সিপিবি আয়োজিত পদযাত্রায় অংশ নেবেন ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই গণতন্ত্রের অভিযাত্রা চলবে।

জনজীবনের সংকট সমাধানে তারা ব্যস্ত নয় : সিপিবি 

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত মহাসমাবেশে বোমা হামলায় শহীদ হিমাংশ, মজিদ, হাশেম, মোক্তার, বিপ্রদাস স্মরণে আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন ও সমাবেশে নেতৃবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, হত্যা, হামলা, মামলা করে বামপন্থীদের নীতিনিষ্ঠ অবস্থান থেকে বিচ্যুত করা যাবে না। তারা বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি এই সরকারের অনেকেই ছবি নামাতে, বিশেষ ঘোষণায় তৈরিতে যত ব্যস্ত- জনজীবনের সংকট সমাধানে তারা ততটা ব্যস্ত নয়। 

গত ২০ জানুয়ারি সোমবার পল্টনস্থ সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে সিপিবিসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক শ্রমিকনেতা কাজী রুহুল আমিন।

সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এদেশে দ্বি-দলীয় রাজনৈতিক ধারার বিপরীতে গণমানুষের স্বার্থ রক্ষায় নীতিনিষ্ঠ বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলায় পদে পদে বাধা আসছে। এখনও এই অপচেষ্টা চলছে। ২০০১ সালে ২০ জানুয়ারি এভাবে সিপিবি’র ডাকে লাখো মানুষের সমাবেশে বোমা হত্যাকান্ড চালানো হয়। লাল পতাকার হাজার হাজার মানুষের উত্থান ঠেকাতে সাম্প্রদায়িক, অগণতান্ত্রিক, লুটেরা শাসকগোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। আজও এর সাথে জড়িতদের ও নেপথ্যের হোতাদের গ্রেফতার ও বিচার শুরু করা হয়নি। তিনি ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রাম অগ্রসর করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কারণ অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার জন-জীবনের সংকট দূর করতে পারছে না। আগের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বহাল রেখেই আরো ভ্যাট-ট্যাক্স চাপিয়ে দিয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। তিনি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার আহবান জানান। তিনি সংবিধানের চার মূলনীতি অক্ষুন্ন রেখে এর অসম্পূর্ণতা দূর করতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন, অহেতুক কথা বার্তা বলে নির্বাচনী সংস্কার ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করা যাবে না।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ২০০১ সালে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ঢাকায় সমবেত হয়েছিল তাদের কথা তুলে ধরার জন্য। বোমা হামলা চালিয়ে তাদের কন্ঠকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘটনার পরপর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতেও বোমা বিস্ফোরণের খবর বেরিয়েছিল। ওই সময় পত্রপত্রিকায় হত্যাকারীদের নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সরকার এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে নানা ধরনের কথাবার্তা সামনে আনার চেষ্টা করে। এই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে হত্যাকারীদের চিহ্নিত, গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। জনজীবনের সংকট দূর করতে মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, সব কাজ করার দায়িত্ব এই সরকারের নয়। বরং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি এই সরকারের অনেকেই ছবি নামাতে, বিশেষ ঘোষণায় তৈরিতে যত ব্যস্ত- জনজীবনের সংকট সমাধানে তারা ততটা ব্যস্ত নয়। তিনি বলেন স্বৈরাচারী ব্যবস্থা পতনের লড়াই আমরা দীর্ঘদিন ধরে করছিলাম। এই লড়াইয়ে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। তিনি দেশের অপরাপর বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনজীবনের সংকট মোকাবেলায় এবং গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।

মিহির ঘোষ তার বক্তব্যে বর্তমান সময়ে সারা দেশে জান মালের নিরাপত্তা না দিতে পারায় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জনজীবনের সংকট দূর করতে না পারলে সরকারের প্রতি জনগণের যে আস্থা ছিল তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে। তিনি বলেন হামলা মামলা চালিয়ে অতীতে শাসকগোষ্ঠী কমিউনিস্টদেরকে তাদের পথ থেকে বিচ্যুত করার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু অতীতের শাসকগোষ্ঠী সফল হয়নি। আগামীতেও কেউ বা কোন গোষ্ঠী যদি সেই অপচেষ্টা চালায় তবে তারাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কমিউনিস্ট পার্টি জিন্দা থাকবে এবং তার দায়িত্ব পালন করে যাবে।

২০ জানুয়ারি শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, ফ্যাসীবাদ বিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউয়ন কেন্দ্র (টিইউসি), উদীচী, বাংলাদেশের কৃষক সমিতি, বাংলাদেশের ক্ষেতমজুর সমিতি, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, সাপ্তাহিক একতা, হর্কাস ইউনিয়ন, গৃহকর্মী শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। আর্ন্তজাতিক সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে ২০ জানুয়ারি শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

শেয়ার করুন