০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:০০:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্টিত , সহজ গ্রুপে ব্রাজিল - যুক্তরাষ্ট্র ডি গ্রুপে স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া


আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনও শুক্রবার সমাবেশ করবে শেরেবাংলানগর
একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপি’র সমাবেশ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপি’র সমাবেশ


বৃহস্পতিবার জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে বিএনপি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন শেরেবাংলানগর বানিজ্য মেলা মাঠে সম্মেলন করার কথা জানান দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ডিএমপি থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ওই দুই দলের সমাবেশ করার কথা ছিল নয়া পল্টন ও বায়তুল মোকাররম দক্ষিন গেটে। ডিএমনি কার্যদিবসে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দুই দলকেই ওই দুইস্থানে অনুমতি দেয়নি। এমনকি বিকেলে বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ের সামনে রায়ট কার, জলকামান সহ ব্যাপক পুলিশী প্রহরা দেখা যায়।


বিএনপিকে আবারও গোলাপবাগ মাঠের দিকে সমাবেশ করার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি তাতে রাজী হয়নি। পরিশেষে স্থায়ী কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ সমাবেশ এক দিন পিছিয়ে সরকারী ছুটির দিন শুক্রবার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এতে করে আর নয়া পল্টনে জনদুর্ভোগটা হচ্ছেনা। একইভাবে আওয়ামী লীগও ভেবেছিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কোথাও। শেষ পর্যন্ত তারাও একদিন পিছিয়ে শেরেবাংলানগর এলাকাতে শান্তি ও উন্নয়ন সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি তারুন্যের সমাবেশ থেকে বৃহস্পতিবার সরকার পতনের একদফা দাবীর প্রেক্ষিতে ওই সমাবেশ আয়োজনের ঘোষনা দিয়েছিল।  

আগামী শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর নয়া পল্টনে বহুল আলোচিত এই মহাসমাবেশ হবে।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির দিনক্ষণ পরিবর্তনের প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার


সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়া পল্টনে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের কথা গত ২৩ জুলাই ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উচ্চ আদালতের আপত্তি এবং কর্মদিবসে নয়া পল্টনে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে জনদুর্ভোগের অজুহাতে আপত্তি জানিয়েছে। যদিও ইতোপূর্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং কর্মদিবসে নয়া পল্টনে অসংখ্য সমাবেশ-মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের দৃষ্টান্ত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বরাবরই শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী বিধায় সরকার ও সরকার দলীয় বিভিন্ন বাহিনীর নানা উসকানি, এমনকি গত প্রায় এক বছরে ২০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা ও অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতিত হওয়ার পরেও সীমাহীন ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে। এমনকি এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা দেশে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন হোটেল এবং সারা দেশে নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবারের (২৭ জুলাই) পরিবর্তে আগামী শুক্রবার (২৮ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেলা ২টায় নয়া পল্টনে পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলমান গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসাবে আয়োজিত এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার কিংবা সরকারের কোনও প্রতিষ্ঠান বাধা সৃষ্টি করবে না। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত যেকোনও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করার যেকোনও অপচেষ্টা দেশবাসী প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাধা সৃষ্টি হিসাবেই দেখবে এবং এমন অপচেষ্টায় নিয়োজিতদের গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টিকারী হিসাবেই গণ্য করবে।’

শেয়ার করুন