এমিরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকলেই দারিদ্র বিমোচন সম্ভব। মনে রাখতে হবে দারিদ্র বিমোচনে তিনটি শক্তি মূল ভূমিকা রাখে: বাজার ব্যবস্থা, রাষ্ট্র, বেসরকারি সংস্থাসমূহ। তিনি বলেন, মূদ্রাস্ফীতি উন্নয়নের বড় শক্র। ‘শোভন কাজ ও সামাজিক সুরক্ষা, সকলের জন্য সমান মর্যাদা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস ২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির তিনি একথা বলেন।
ড. আতিউর রহমান আরো বলেন, সরকারি নীতিসমূহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তিনি গ্রামীণ দারিদ্রের পাশাপাশি নগর দারিদ্র, পরিবারের শিশু ও নারীর নিরাপত্তাহীনতা, সমবায় নীতি, সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় কমানো ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
গত ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার এডাব (এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ) ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)-এর যৌথ আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এডাব-এর পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় ও ভাইস-চেয়ারপারসন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইকোনোমিক্স রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি ও বাংলা ভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক শারমিন রিনভী, এডাবের কোষাধ্যক্ষ গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ফারুক রত্না।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এনামুল কবীর রুপম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাব কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক।
এনজিওগুলো সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে সভায় বক্তারা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে কাজের ক্ষেত্র নির্ধারণ করার উপর জোর দেন। তারা বলেন, মনের দারিদ্র্য দূর করতে না পারলে সামগ্রিক দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয়। এছাড়া, দারিদ্র বিমোচনে শ্রমশক্তিকে ক্ষমতায়িত করা, কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, বৈচিত্রকে উৎসাহিত করা, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, ব্যবসা-বান্ধব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কৃষিতে ভুর্তকির ব্যবস্থা করা, গৃহস্থালী কাজে নারীর অবদানের স্বীকৃতি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।