০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


দ্বিতীয় টেস্টে হার ১০ উইকেটে
দেশেও সিরিজ হারের লজ্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৫-২০২২
দেশেও সিরিজ হারের লজ্জা এ হাসি শ্রীলঙ্কাকেই মানায়। কারন চট্টগ্রাম টেস্টে ড্র করার পর মিরপুরে ম্যাচটা জিতল তারা ফ্রন্টফুটে থেকেই/ছবি সংগৃহীত


টেষ্ট ক্রিকেটে পারফরমেন্সের অবনতি দিনান্তর। হেরেই চলছে বাংলাদেশ। কিন্তু সে হারের তো ধরন আছে। দক্ষিন আফ্রিকায় চরম ব্যাটিং ব্যার্থতায় বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে লজ্জায় ভাসতে হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। দেশের মাটিতেও সেই ব্যাটিং বিপর্যয়। মুশফিক-লিটন যদি ওই ব্যাটিংটুকু না করতেন, তাহলে তো সেই দক্ষিন আফ্রিকার ব্যাটিংই। হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গ যেমনটা বলছেন,কেন এমন হচ্ছে তিনি বুঝতে পারছেন না। আসলেই তো একজন টেষ্টব্যাটসম্যান ধারাবাহিক ব্যার্থ হতে পারে। কিন্তু তাই বলে দলের দ্বায়িত্বশীল সবাই একযোগে ব্যার্থতার ঘোরটোপের মধ্যে থাকবেন? এটা হয়? একটা দল কিভাবে দাড়াবে তাহলে? আসলে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এগুলো কি এমনিতেই হচ্ছে না কি দলের শৃংখলা-টৃংখলা বা মানসিক কোনো সমস্যা যাচ্ছে। 

এক কথায় বলতে গেলে ওই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া টেষ্টম্যাচের ব্যাটিংয়ের ছন্দটাই হারিয়ে গেছে টিম বাংলাদেশের। লজ্জা। মিরপুরের চেনা উইকেটে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেটের পতনের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে ৪ উইকেট। অথচ ওই উইকেটে মুশফিক-লিটন সাবলীল। শ্রীলঙ্কা তো রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে পাচশতাধিক রান তুলে ফেলেছে। শ্রীলঙ্ক্রা ব্যাটসম্যানরা কী অভিজ্ঞতার দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে? মোটেও না। আসলে কিভাবে টেষ্টম্যাচের ব্যাটিং করতে হয় এখন এটা ২২ বছর পর নতুনভাবে শেখানোর সময় এলো কি-না কে জানে! 

ম্যাচের প্রথম সেসনেই স্বপ্ন-টপ্ন শেষ হতে বসেছিল। মুশফিক লিটন কিছুটা লাগাম টেনে ধরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত ড্র করার একটা চান্স এসেছিল। পঞ্চম দিনের প্রথম সেসনটা পর্যন্ত মোটামুটি ঠিক ছিল সব। কিন্তু দ্বিতীয় সেসনে অর্থাৎ লাঞ্চের পর খেলতে নেমেই সব লন্ডভন্ড। লাঞ্চে ব্যাটিং এ ছিলেন লিটন ও সাকিব। রান ১৪৯/৫। লাঞ্চের পর খেলতে নেমে মুহুর্তে বাকী পাচ উইকেট তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা এক ঝটকায়। মনে হচ্ছিল উইকেট নেয়া খুবই একটা সহজ ব্যাপার। বাংলাদেশ দলের মাথায় যেন চিন্তা টি-২০ ক্রিকেটের। না হয় ২০ রানে শেষ ৫ উইকেটের পতন হয়? কী ব্যাটিং বাংলাদেশের?

লাঞ্চের পর ৭ রানের মাথায় আউট লিটন দাস। পরাজয়ের সুচনা ওই খানেই। লিটন ৫২ করে আউট হওয়ার পর  সাকিব ও মোসাদ্দেক জুটি বাধেন। এবার সেট ব্যাটসম্যান আউট সাকিব। দলীয় ৬৩ রানে ৫৮ করে আউট তিনি। এরপর শুধু অপেক্ষা চলে কখন ইনিংসটা শেষ হবে এবং বাংলাদেশ কত উইকেট হারবে। কারন ততক্ষনে কিছুটা লীড নিয়েছিল এই যা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ রানের টার্গেট শ্রীলঙ্কা বিনা উইকেটে সংগ্রহ করে সিরিজ জয়ের উৎসবে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে লজ্জায় ভাসিয়ে।উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে প্রথম টেষ্ট ড্র হওয়ায় সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা ১-০ তে।   

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৩৬৫ ও ১৬৯/১০

শ্রীলঙ্কা : ৫০৬ ও ২৯/০

ফল: শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ : শ্রীলঙ্কা ১-০ তে জয়ী। 

ম্যান অব দ্যা সিরিজ : অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (শ্রীলঙ্কা) 


শেয়ার করুন