২০ মে ২০১২, সোমবার, ০৬:৫১:২১ পূর্বাহ্ন


আওয়ামী লীগের সভায় বিপ্লব বড়ুয়া
আর কোনোদিন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৫-২০২৪
আর কোনোদিন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না বক্তব্য রাখছেন বিপ্লব বড়ুয়া


বাংলাদেশে আর কোনোদিন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিদেশে বসে যারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, শেখ হাসিনাকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে এবং প্রধানমন্ত্রী এলে যারা বিক্ষোভ করে সেসব কুলাঙ্গারদের প্রতিহত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গসংগঠন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এসব কথা বলেন।

গত ২ মে সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটনের নবান্ন পার্টি হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্বে করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া। এই অনুষ্ঠানে অন্য কারো চেয়ারে বসার এবং বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ ছিল না। অবশ্য এজন্য দায়ী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নিজেই। তারা ঘোষণা করেছিলেন এই অনুষ্ঠানে যাদের বিতর্কিতভাবে কমিটিতে কোঅপট করা হয়েছে, তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। যে কারণে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশের নেতৃবৃন্দও অংশগ্রহণ করেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতির তৈরি হয়। পরিস্থিতির কথা আগেই জানানো হয়েছিল বিপ্লব বড়ুয়াকে। তিনি সবার সঙ্গে বৈঠক করেন। কোঅপট কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা দেওয়া হবে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে এবং মঞ্চে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেউ থাকবে না প্রতিশ্রুতি দিলে সবাই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। যে কারণে কাউকে স্টেজে নেওয়া হয়নি, এমনকি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারপরও পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। এই অবস্থায় বক্তব্য দিতে ওঠেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। উঠেই তিনি বলেন, আপনাদের কাছে করজোর ক্ষমা চাই, আপনারা একটু শান্ত হোন। তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা সবাই ভালোবাসি। সেই ভালোবাসার কারণেই আমরা একত্রিত হয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের ভালোবাসার নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে আপনাদের সবাইকে একত্রে দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এটা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। স্বপ্নের দেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন, কিন্তু সোনার বাংলা উপহার দেওয়ার আগেই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুনির শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয় পুরো বাঙালি জাতির স্বপ্নকে খুন করতে চেয়েছিল। সেই স্বাধীন দেশে খুনি এবং রাজাকাররা ক্ষমতায় ছিল। তারা গোলাম আজমের মত যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব দিয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উপহার দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যত অর্জন সব আর্জনের পেছনে রয়েছে শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বারবার প্রমাণ করেছেন, তিনি দেশে স্বার্থ বিকিয়ে দেননি। বাংলাদেশ আজ তার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের গণতন্ত্রকে আন্ডারমাইন্ড করা হচ্ছে। আমেরিকা আমাদের গণতন্ত্র শেখানো এবং মানবাধিকার শেখানোর সবক দিচ্ছে। অথচ তাদের দেশেই আমাদের সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। আমি এর নিন্দা জানাই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আর কোনোদিন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিদেশে বসে যারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, শেখ হাসিনাকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে এবং প্রধানমন্ত্রী এলে যারা বিক্ষোভ কওে, সেসব কুলাঙ্গারদের প্রতিহত করতে হবে। অন্যদিকে যারা দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। না হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে দুর্বল করা হবে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, কারো কারো মানবিকতা হচ্ছে সমূলে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা। এটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আজ বিশ্বের উন্নয়নের মডেল। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন