২০ মে ২০১২, সোমবার, ০৬:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন


ফাউন্ডেশন অব বেটার ওয়ার্ল্ডে প্রশংসনীয় উদ্যোগে নতুন প্রজন্ম তাদের সফল্যের গল্প শোনালেন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৫-২০২৪
ফাউন্ডেশন অব বেটার ওয়ার্ল্ডে প্রশংসনীয় উদ্যোগে নতুন প্রজন্ম তাদের সফল্যের গল্প শোনালেন বক্তব্য রাখছেন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি ফারহান আব্দুর রহমান


ফাউন্ডেশন অব বেটার ওয়ার্ল্ড একটি ভিন্নধর্মী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান। তার লক্ষ্যে ছিল কমিউনিটির মানুষের জন্য কিছু করা। বিশেষ করে কম্পিউটার শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্যবিষয় সেমিনারসহ অন্যান্য সেবামূলক কর্মকাণ্ড। যেই চিন্তা সেই কাজ। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে দাঁড়ালেন মানুষের পাশে। এই সংগঠনের আয়োজনে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান করেছেন। সেসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের উপকার করেছেন। অনেকেই বলে না নিজের খেয়ে বনের মেষ তাড়ানোর মতো নিজের অর্থ খরচ করে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোহবান ফ্রিতে এই অনুষ্ঠান করে যাচ্ছেন। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি চমৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান। প্রবাসে সাধারণত নতুন প্রজন্মের কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতে খুব একটা দেখা যায় না। শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের নিয়ে অসাধারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গত ৫ মে সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভাইস কনসাল এস এম নাজমুল হাসান। কিনোট স্পিকার ছিলেন শায়লা ইফতেখার, স্পিকার হিসেবে ছিলেন সাবেক বিচারপতি থমাস ডি র‌্যাফায়েল, মোহাম্মদ আলী, ডা. ইভান খান, শেখ আল মামুন, মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল, প্রিসিলা ফাতেমা, শাহ শহীদুল হক, কাজী হেলাল আহমেদ, আকতার হোসেন, ফাহাদ সোলায়মান, আব্দুর রহিম হাওলাদার, প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান ও মেম্বার সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেমি কাজী, ফারহান আব্দুর রহমান, সাদমান ইশরাক, শিফাত শফি, শুভজ্যোতি রয়, আনিলা হায়দার, রাসলান হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন সোনিয়া।

এই অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন এবং ভালো স্কুল এবং কলেজে চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের কী করণীয় এবং শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের কী ধরনের সম্পর্ক হওয়া উচিত তা উল্লেখ করেছেন। অন্য ট্যালেন্ট স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা তাদের শিক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কীভাবে তাদের বাবা-মায়েরা কষ্ট করে তাদের ভালো স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য সহযোগিতা করছেন, তা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, আমাদের বাবা-মায়েদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই আমরা ভালো স্কুল বা কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতাম না। অনেক সময় ফোন নিয়ে খেলার ইচ্ছা থাকলেও বাবা-মায়েরা আমাদের ফোন না দিয়ে বই হাতে ধরিয়ে দিতেন। অনেক সময় মনে কষ্ট পেলেও তা ভুলে যেতাম। কারণ ওই কারণেই আমি ভালো করতে পেরেছিলাম। ভালো ফলাফল আশা করতে হলে শিক্ষাকদের শুনতে হবে, বাবা-মাকে শুনতে হবে। ভালো রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রীরা তাদের সাফল্যের জন্য বাবা এবং মাকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, তাদের ছাড়া আমরা এখানে পৌঁছাতে পারতাম না। একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের ইসলামি স্কলারদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তাদের অনুভূমি ব্যক্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়। তারা কোরআনের আলোকে সুন্দর আলোচনা করেছেন। বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, আমরা যাই করি না কেন। আমাদের ধর্ম পালন করতে হবে, ধর্মের অনুশীলন করতে হবে।

বৃষ্টির মধ্যেও হলভর্তি দর্শক চমৎকার এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। গান-বাজনা ছাড়াও যে একটি অনুষ্ঠান সফল করা যায়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ ফাউন্ডেশন ফর বেটার ওয়ার্ল্ড। অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন