৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:৩৮:০৪ অপরাহ্ন


দোহার উপজেলা সমিতির জমজমাট বনভোজন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৭-২০২৪
দোহার উপজেলা সমিতির জমজমাট বনভোজন বেলুন উড়িয়ে দোহার উপজেলার বনভোজন উদ্বোধন


উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন দোহার উপজেলা সমিতির জমজমাট বনভোজন গত ৩০ জুন গত প্রতিবারের মতো এবারও জমজমাট আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। লং আইল্যান্ডের হ্যাকশেয়ার স্টেট পার্কের ফিল্ড-২-এ আয়োজিত এই বনভোজনে দোহার উপজেলা প্রবাসীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে বনভোজনস্থল। পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির মধ্যে নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রবাসীরাও ছিলেন। সমিতির প্রধান ট্রাস্টি গিয়াস আহমেদ, সংগঠনের সভাপতি দুলাল বেহেদু, বাংলাদেশ থেকে আগত গিয়াস আহমেদের বড় ভাই নাসির আহমেদসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি দুলাল বেহেদু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মুকুল, আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান বিপ্লব ও সদস্য সচিব আব্দুল আজিজসহ ও সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা।

এবারের বনভোজন ছিল বিভিন্ন আনন্দদায়ক ও বিনোদনমুলক ইভেন্টে ভরপুর। শিশু কিশোরদের দৌড় প্রতিযোগিতা, বল নিক্ষেপ, ফুটবল খেলাসহ নানা ইভেন্টে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করেন উপস্থিত সবাই। ব্যস্ততম জীবনের ফাঁকে এদিনটি সকলের কাছেই ছিল উপভোগ্য। ফাঁকে ফাঁকে পরিবেশন করা হয় নানা ধরনের বাক্স ও কোমল পানীয়। সবচেয়ে উপভোগ্য ছিল আমভর্তার আয়োজন।

বনভোজনকে সফল করে তুলতে সংগঠনের সভাপতি দুলাল বেহেদু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মুকুল, আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান বিপ্লব ও সদস্য সচিব আব্দুল আজিজ, কার্যকরি পরিষদ ও উপদেষ্টাদের নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন।

বনভোজনে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় দিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বারী হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আসেফ বারী টুটুল, জেবিবিএর একাংশের সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ খালেক প্রমুখ।

বনভোজনে বিশেষ সহযোগিতা করেছেন প্রধান ট্রাস্টি গিয়াস আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাসুল আশরাফ চৌধুরী তেনজিং। সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য যথাক্রমে-প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান গিনি, উপদেষ্টা সালাউদ্দিন আহমেদ খোকন, আলম হোসেন আলমগীর, আব্দুর রাজ্জাক আনোয়ার, আব্দুর রাজ্জাক নান্নু, শফিকুল আলম, রিফাত বরকত, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম (মন্টু), বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর ভুইয়া, অধ্যাপক জহির উদ্দিন বাবর, নজরুল ইসলাম বেপারী, মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আহমেদ উক্ত বনভোজনকে সফল করতে সহায়তা করেছেন।

এবারের বনভোজনের আহ্বায়ক কমিটিতে আরো ছিলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুর রহমান টুটুল, হিরা খান ও আকতার হোসেন বিপ্লব, যুগ্ম সদস্য সচিব এস সফিকুর রহমান তপন, বিমল চন্দ্র বর্মণ ও শোয়েব আক্তার। বনভোজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় সক্রিয় ছিলেন আপনা বাজার সুপার মার্কেটের সিইও আছিয়া আক্তার। পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তাহমিনা আক্তার মায়া, আক্তার হোসেন, রহমত উল্লাহ ও সুমন চক্রবর্তী। প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন শফি উদ্দিন সফা। সঙ্গে ছিলেন সোয়েব আক্তার, সুমন মাহমুদ ও ইমরান আহমেদ পরশ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রবিউল আলম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন নুরুন নাহার হ্যাপি ও ডালিয়া রহমান। আপ্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন জাকির হোসেন কাঞ্চন। সহযোগিতায় করেছেন আব্দুর রউফ চৌকদার ও জয়নাল আবেদীন।

দুপুরে সবার জন্য ছিল মুখরোচক বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা। নানা ধরনের সুস্বাদু খাবারে সাজানো হয়েছিল এবারেরর বনভোজনের খাবারের মেন্যু। এবারের বনভোজনের বিশেষ আয়োজন ছিল প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান। গান গেয়ে বনভোজনে সবাইকে মাতিয়ে তোলেন যথাক্রমে-নাজু আকন্দ, রায়ান তাজ, প্রমি তাজ, মোস্তফা কামাল মুকুল, ডালিয়া রহমান প্রমুখ।

বনভোজনের প্রধান আকর্ষণ ছিল র‌্যাফেল ড্র। প্রথম পুরস্কার ছিল স্বর্ণালংকার, দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল নগদ ১২০০ ডলার এবং তৃতীয় পুরস্কার ছিল আইফোন-১৫ প্রো ম্যাক্স। এছাড়াও সেই সঙ্গে আরো ৭টি আকর্ষণীয় পুরস্কারে সাজানো হয়েছিল এবারের র‌্যাফেল ড্র। র‌্যাফেল ড্র ইভেন্টটি ছিল টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ও আনন্দঘন। বিজয়ীরা পুরস্কার হাতে নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে। প্রায় ৮০ জন উপস্থিত শিশু-কিশোরদের হাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় গিফট প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়।

দিনভর হই-হুল্লোড়, কুশল বিনিময়, আর আনন্দ-উল্লাসে কাটানোর পর পড়ন্ত বিকালে বাড়ি ফেরার পালা। সংগঠনের সভাপতি দুলাল বেহেদু সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং আগামীতেও আবার মিলিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন