প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন আগামী ২৭ অক্টোবর। গঠন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছেন। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২ সেপ্টেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের চূড়ান্ত দিন। বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব ভবনে এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। দুই প্যানেলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। অত্যন্ত সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। এই সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ এ মান্নান, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মেহবুবুর রহমান বাদল ও আহবাব চৌধুরী খোকন। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিমুর রহমান বোরহান, আব্দুল হাসিম হাসনু, ওয়াসি চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাসুম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির, সাবেক সভাপতি মামুন মিয়াজী, বিয়ানীবাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু, সাবেক কর্মকর্তা সালামত উল্যাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাঈম টুটুল, বৃহত্তর নোয়াখালি সমিাতর কর্মকর্তা নজির ভান্ডারি, রুহুল আমিন, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, কাজী তোফায়েল ইসলাম প্রমুখ।
নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে ১৯টি পদে ৩৭টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র বিক্রি জমায় বাংলাদেশ সোসাইটির আয় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩০০ ডলার। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি সময় আয় ২০ হাজার ডলার। দুই প্যানেলের মধ্যে মনোনয়ন জমা নিয়ে পাওয়া গিয়েছে ৮১ হাজার ৩০০। নির্বাচন কমিশনের দেয়া সময় অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিলো বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। কিন্তু বিকেল থেকে দুই প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকরা বাংলাদেশ সোসাইটির অফিসে আসতে থাকেন। এই সময় পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় কোন কোন প্যানেল থেকে স্লোগান এবং হাততালিও দেয়া হয়। আবার কোন কোন প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকরা সৃন্দরভাবে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
প্রথমেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন সেলিম-আলী প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকরা। এই প্যানেলের প্রার্থীরা হচ্ছেন সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবুল কালাম ভুইয়া, কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জে এইচ খান, প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান জিলানী, ক্রীড়া সম্পাদক আশরাব আলী খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জামিল আনসারী, সাহিত্য সম্পাদক মোহাম্মদ এ আক্তার, কালচারাল মোস্তফা অনিক রাজ। এ ছাড়াও রয়েছেন কার্যকরি পরিষদের ৬ সদস্য।
এই প্যানেলের মনোনয়নপত্র জমা শেষে রুহুল-জাহিদ প্যানেলের প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, সিনিয়র সহ সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সহ সাধার্যণ সম্পাদক সরোয়ার খান বাবু, কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদী মিন্টু, প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, সাহিত্য সম্পাদক রুমানা আহমেদ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ হোসাইন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নাদের এ আইয়ুব, ক্রীড়া সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায়। এ প্যানেলেও ৬ জন সদস্য প্রার্থী রয়েছেন।
দুই প্যানেল মনোনয়নপত্র দাখিল করায় কাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন জমে উঠেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সাথে সাথেই প্রার্থীদের আনুষ্ঠিনিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচনে দুই প্যানেলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।