০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:১৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ‘অসততাকে উৎসাহিত করা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৪
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ‘অসততাকে উৎসাহিত করা


কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদানের অর্থ ‘অসততাকে উসাহিত করা’ বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রসঙ্গ টেনে সংসদের সাবেক স্পিকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ এই যে লুটপাটের কালো টাকা বাজেটে ১৫% দিয়ে হোয়াইট(সাদা) করা হয়। যদি ১৫% দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যায় তাহলে তো যারা আমরা খেটে খাওয়া লোক আছি তাদের সঙ্গে ওদের(কালো টাকাধারীদের) তো পার্থক্য থাকছে না।”

‘‘যে করাপশন করে টাকা রাখবে....এই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে না। ট্যাক্স দিয়ে যদি হোয়াইট করা যায় তাহলে তো ইউ উইল বি এনকারেজিং ডিসঅনেস্টি।”

বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উপস্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই অপ্রদর্শিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

দুই বছর আগে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ায় পরে এ সুযোগ বাতিল করা হয়। এর পরের বছর দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হলেও কেউ সেই সুযোগ নেননি। এক বছর বিরতির পর আগামী অর্থবছরে আবারও ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক স্পিকার বলেন, ‘‘ এই জন্য আমি এই বিষয়ে(অপ্রদর্শিত আয় সাদা করার বিষয়) সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এটি বিবেচনার সময়ে সাবধানে দেখবেন যে, পার্থক্য থাকে যেন, ওয়ান ইজ আর্নিং মানি এন্ড আদার ওয়ান ইজি গেটিং মানি। আর্নিং মানি কোন সময়ে গেটিং মানির সঙ্গে এক না হয়… এটুকু অনুরোধ সরকারের কাছে রইল।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত সাবেক এটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলীর স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়। গত ২ মে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে সভাপতি সাবেক এটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর।

আইন অঙ্গনে প্রয়াত  আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, রুহুল আমিন গাজী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম লিটন, আবদুল হালিম মিঞা, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট জামিলা মনসুর, খুরশীদ আলম, জামিলা মমতাজ, শামীমুর রহমাম শামীম, ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও প্রয়াত এজে মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াজ হোসেন খন্দকার  বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন